নৌকায় ভোট চেয়ে পাড়া-মহল্লায় ছুটছেন লিটন
স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র হিসেবে জয় পেতে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
নির্দিষ্ট সিডিউল তৈরি করে প্রতিনিদনই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ ও পথসভা করছেন সদ্য সাবেক এই মেয়র। তার সঙ্গে থাকছেন আ’লীগের নগর ও স্থানীয়সহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা।
এ ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকালে মহানগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকাতেও গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এসময় তিনি উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
গণসংযোগকালে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের মার্কা, এটি প্রামাণিত। শুধু রাজশাহীতে নয়, নৌকা মার্কার এক নম্বর কাণ্ডারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। সাময়িক একটা সংকট তৈরি হতে পারে। একটা দেশ সব সময় এক রকমভাবে চলে না। একজন মানুষের জীবন চিরকাল এক রকমভাবে যায় না। সেই হিসেবে বিশ্ববাজারে সংকটের কারণে আমাদের কিছু দ্রব্যমূূল্যের দাম বেড়েছে। এটি সাময়িক সময়ের জন্য। এটাকে নিয়ে যারা রাজনীতি করছে, যারা মনে করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দরকার নেই, তারা আপনাদের ভুল পথে পরিচালিত করতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশকে স্বাধীন করেছে, দেশের প্রতি আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দরদ কারো হতে পারে না।”
রাসিকের সাবেক এই মেয়র বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই হিসেবে রাজশাহীতে যে উন্নয়ন করেছে, তা মাত্র আড়াই বছরে করতে হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর করোনার কারণে সারা পৃথিবীর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ ও রাজশাহীর কার্যক্রম স্থবির হয়েছিল। সে সময় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। খাদ্য দ্রব্য, ওষুধ, চিকিৎসা ও বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছি। সে সময় উন্নয়নমূলক কাজ আমরা করতে পারিনি।”
লিটন আরো বলেন, “৫ বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছরে যে উন্নয়ন দেখেছেন, তা ২৭০০ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ১২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন। তাতেই মানুষ রাজশাহীর ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সুন্দর ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে পরিচিত পেয়েছে রাজশাহী। রাজশাহীর উন্নয়নে আরো ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আরো ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে আসবো। আগামী সব মিলে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আজকে ২০২৩ সালে যে রাজশাহী আপনারা দেখছেন, ৫ বছর পরে এই রাজশাহী আরো নতুন, আরো সুন্দর, কর্মচঞ্চল ও প্রাণবন্ত শহরে পরিণত হবে ইনশাল্লাহ।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, “রাজশাহী সিটির আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ করতে চাই। তার সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করা আছে। হয়তো একটা প্রশ্ন আপনাদের মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় কর্মের কী হবে? আমার মাথায়ও একি প্রশ্ন। আগামীতে আমি ঢাকা থেকে, নারায়নগঞ্জ থেকে, গাজীপুর থেকে শিল্পপতিদের রাজশাহীতে নিয়ে এসে তাদের মাধ্যমে ছোট করে হলেও ২০ গার্মেন্টস কারখানা করতে পারি তাহলে সেখানে ৩০ হাজার নারী-পুরুষের কর্মের ব্যবস্থা হবে। ”
পথসভায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, রাজশাহী এ্যাড. বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু, শিবলী, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, ২৬নং ওয়ার্ড (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কাদের, সাধারণ সম্পাদক আকতার আহমেদ বাচ্চু সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী/জেআর