ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

১৪ দলকে নিয়ে মাঠ কাঁপালেন লিটন

  • আপডেট: Saturday, June 3, 2023 - 9:00 pm

|| রাজশাহী সিটি নির্বাচন – ২০২৩ || 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শুরু হয়েছে সিটি নির্বাচনের প্রচারণা উৎসব। প্রতীক পাওয়ার পরেই পুরোদমে মাঠ কাঁপাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। এতে সবথেকে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দলের সমর্থিত হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শনিবার বিকালে নগরীর “জয় বাংলা চত্বর” থেকে ১৪ দলীয় জোটের উদ্যোগে প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেয়র প্রার্থী লিটন নিজেই। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ১৪ দলের পৃথক মিছিল এসময় পরিনত হয় জনসমুদ্রে।

মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টেস্থ বড় মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা। এতে রাজশাহী ১৪ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পথসভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। করোনা মহামারীর সংক্রমণ দেখা দিলে সেটি মোকাবেলা ও মানুষকে বাঁচাতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে অনেক কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেও রাজশাহী যে উন্নয়ন করেছি, তা দৃশ্যমান।

সাবেক এই মেয়র বলেন, রাজশাহীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো। আগামীতে কী কী করতে চাই, সেটি আমি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছি। এবার আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিসিক শিল্পনগরী- ২ ও চামড়া শিল্প পার্ক দিয়েছেন। আগামী ৫ বছর তরুণ-তরুণীদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই।

১৪ দলের এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজশাহীকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আজকের যে রাজশাহী দেখছেন, আগামী ৫ বছরে রাজশাহী হবে আরো উন্নত, কর্মচঞ্চল আরো আধুনিক হবে। তাই দল মত নির্বিশেষে ২১ জুন সারাদিন, নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লিটন বলেন, অপ্রচারকারীরা মাঠে নেমেছে। তারা অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। যেসব এলাকায় গরীব মানুষের বসবাস, যেসব এলাকায় গিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল বলছে, একটি ভোট দিলে একটি হজ্বের সওয়াব পাওয়া যাবে। “নাউজুবিল্লাহ।”

তিনি বলেন, পূর্বে আমরা জামায়াত-শিবিরের লোকের মুখে শুনেছিলাম, তাদের মার্কায় ভোট দিলে জান্নাতের টিকেট পাওয়া যায়। একথা মানুষকে বলে আজকে তারা সংকটে পড়েছে। যারা নতুন করে দেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছেন, রাজনীতিতে, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ নেন সমস্যা নাই। কিন্তু ধর্মের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।

প্রচার মিছিল ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।

১৪ দলের কর্মসূচিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, নারী মুক্তি সংসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যাপক তসলিমা খাতুন, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাইমুল হুদা রানা, মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, নগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, জেলা জাসদের সভাপতি প্রদীপ মৃধা, মহানগর ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক বাসেত হোসেন প্রামিণিক, নগর সাম্যবাদী দলের সম্পাদক এসএম ওমর ফারুক প্রমুখসহ রাজশাহী ১৪ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস