সিটি নির্বাচন: একাট্টা ১৪ দল
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন রাজশাহী ১৪ দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় ১৪ দলের নেতারা এই অঙ্গীকার করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদ্য সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৪ দল অতীতেও আমরা নির্বাচনে একসাথে কাজ করেছি, এখনো করছি। আগামীতেও একসাথে কাজ করবো। রাজশাহীতে এক সাথে উন্নয়ন করবো। এর মধ্যে তিল পরিমান ভুল বোঝার কোন সুযোগ নেই।
লিটন আরো বলেন, সর্বক্ষেত্রে রাজশাহীর উন্নয়ন হয়েছে। বাদশা ভাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, তিনি নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। রাজশাহীর উন্নয়নের এই ধারা ধরে রাখতে এখন কর্মের প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি বিনিয়োগ নাও করেন, তাহলে সরকারিভাবে যাতে করা যায়, সেজন্য আমি ও বাদশা ভাই একসাথে ঢাকা গিয়ে চেষ্টা করবো। এ অঞ্চলের মানুষকেও আওয়াজ তুলতে হবে। আমাদের কর্মের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে সুন্দর রাজশাহী গড়ে তুলবো।
এসব কিছুই সম্ভব হবে আগামী ২১ জুন সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হলে। তারপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সারাদেশে জয়যুক্ত করতে হবে। এটি করতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। এর কোন ব্যত্যয় হলে যে উন্নয়ন হয়েছে, সব শেষ হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটন আবারো নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। ১৪ দলের ঐক্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামাত-বিএনপিকে দমানোর জন্য তৈরি করেছিলেন। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যে মুক্তিযুদ্ধ, তার ঐক্য।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তারা মনে হয় ঘরের বাইরে বের হন না, বের হলেই তাদের গায়ে যন্ত্রণা শুরু হয় তাই রাজশাহী থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তবে জামাত-বিএনপি’র দোসররা টিকে থাকতে পারবে না।
সভায় বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, জেলার সভাপতি সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক এসএম ওমর ফারুক, ন্যাপ রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বাসেত প্রামাণিক প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, জেলা জাসদ সভাপতি প্রদীপ মৃধা, ন্যাপ মহানগরের সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস