‘বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না’
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।
সেই পথচলা মসৃণ ছিল না। তিনি দেশে ফিরে ক্ষমতা এসে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করেছেন, তার সবকিছুই আপনাদের সামনে দৃশ্যমান। তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগে উদ্যোগে বুধবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এই কথা বলেন।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এরপর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে পৃথকভাবে আরেকবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র লিটন।
এরপরে দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন।
আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন উলামা কল্যাণ পরিষদ, রাজশাহীর সাবেক সভাপতি মাওলানা আইয়ুব আলী।
আলোচনা সভায় ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আর আগামী ২১ জুন সেটি আমরা দেখিয়ে দেব। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা মেয়র পদসহ অধিকাংশ কাউন্সিলর পদ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। যাতে আমরা উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে পারি।
রাসিক মেয়র বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই রাজশাহী শহরের জন্য ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেই অর্থ দিয়ে রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা রেজা, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম।
সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও আহসানুল হক পিন্টু।
সোনালী/জেআর