রাজশাহীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্ম দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৪তম জন্ম দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে আলুপট্টিস্থ মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে জাহানারা ইমামের জন্ম দিবস পালন করা হয়।
এসময় শহীদ জননীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে তার স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা ও মহানগর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব তামিম শিরাজী, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সভাপতি আব্দুল লতিফ চঞ্চল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, নির্মূল কমিটির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আইনজীবী জোছনা আরা, প্রভাষক হাসিবুর রহমান, মাহফুজ হোসেন, আহসান হাবিব, আসগর আলী, স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার প্রামানিক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জাহানারা ইমাম একজন কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র প্রথম আহ্বায়ক। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হয়।
এর কিছুদিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি ৭২টি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। তখন জাহানারা ইমামকে সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এবং অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরীকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ‘গণ-আদালত’ বসিয়ে গোলাম আযমের বিচারের আয়োজন করে।
গণআদালতের বিচারে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমকে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধসহ ১২টি অপরাধে অভিযুক্ত করে প্রতীকী মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তাঁর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস