ঢাকা | মে ১০, ২০২৫ - ৯:১৫ অপরাহ্ন

আত্মহত্যা বলে ঢাবি ছাত্রীকে দাফনের চেষ্টা, মা-ভাই আটক

  • আপডেট: Thursday, April 27, 2023 - 10:45 pm

অনলাইন ডেস্ক: যশোর শহরের বেজপাড়া চারখাম্বার মোড় এলাকায় ফারহানা পারভীন ঊর্মী (২৯) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার দায় স্বীকার করায় আপন ভাই ফয়েজ রাজ্জাক ফারদিন (২৩) ও মা আইরিন পারভীন (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর কোতয়ালি থানায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তারা লাশ গোপনে দফনের চেষ্টা করছিলো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল জুয়েল ইমরান জানান, নিহত ফারহানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় তিনি মা ও ভাইয়ের সাথে যশোর শহরের বেজপাড়ার চারখাম্বার মোড় এলাকার ইমরান কবীরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক কলোহের জেরে তাকে তার ভাই ফারদিন শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এরপর ফারদিন ও তার মা আইরিন পারভীন লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখায় নিয়ে যায়। আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে দাফনের করার চেষ্টা করা হয়। নিহতের গোসলের সময় তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর ফারহানা চাচা রবিউল ইসলাম বিষয়টি শালিখা থানা পুলিশকে অবহিত করে। শালিখা পুলিশের মাধ্যমে অবহিত হওয়ার পর যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ ফারহানার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারহানার ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর তারা হত্যার দায় স্বীকার করলে ফারহানার চাচা রবিউল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাদের আটক দেখানো হয়।

প্রেস ব্রিফিং এ আরও জানানো হয়, নিহত ফারহানা মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মেয়ে। ঘাতক ফারদিন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের এলএলবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত মঙ্গলবার রাতে কি একটা বিষয় নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে ঝগড়া হয়।

সে সময় ফারদিন জোরে ধাক্কা মারে তার বোনকে। তার বোন মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। পরে তার উড়না নিয়ে গলাই পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, নিহতের বাবা আইনজীবী ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি মারা যান। এরপর থেকে তারা যশোরে ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ফারহানা মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাড়িতে নেয়া হয়। আইরিন পারভীনের পিতার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির কারোর সাথে যোগাযোগ ছিলো না।

তারা একাই থাকতো। মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ফারহানার লাশ একটি প্রাইভেটকারে করে বসিয়ে মাগুরারা শালিখার শ্রীহট্টি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্ত লাশের মাথায় আঘাত দেখে নিহতের দাদা বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে পুলিশে সংবাদ দেয়া হয়। এরপর জানা গেছে ফারহানাকে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করেনি।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS