ঈদ অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না দেওয়ায় মারধর
অনলাইন ডেস্ক: নাটোরের সিংড়ায় ঈদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক বাবলসহ ছয়জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনুর বিরুদ্ধে। এতে ৬ জন আহত হন। শনিবার উপজেলার কলম ইউনিয়নের নুরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর আহতের খোঁজ নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলম ইউনিয়নের নূরপুর-কৃষ্ণপুর স্কুল মাঠে ঈদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইমদাদুল হক বাবলু। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না দেওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে তর্ক হয়।
এর একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনুর সমর্থকরা আয়োজক কমিটির সদস্যদের মারধর করেন। এতে বাবলুসহ ছয়জন আহত হন। আহত অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে তিনজনকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত আওয়ামী লীগের কর্মীরা হলেন- আসাদুজ্জামান ভুট্ট (৩৭), কাজল হোসেন (৩৬), হিরা (৩৭), মিন্টু (৩৫), আলেক খান (৪২)।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইমদাদুল হক বাবলুসহ তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু বলেন, ধাক্কাধাক্কি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। এখানে গত ইউপি ভোটের কোনো প্রভাব নেই। তবে ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
সোনালী/জেআর