ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

চাঁপাইয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, যুবকের মৃত্যু

  • আপডেট: Sunday, April 23, 2023 - 3:19 pm

অনলাইন ডেস্ক: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জিয়ারুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুইপক্ষের অন্তত ১০ জন।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রনারয়ণপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে।

নিহত জিয়ারুল ওই গ্রামের কসিমুদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরেই সুন্দরপুর এলাকায় দুটি পক্ষ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ করছিল।

রোববার দুপুরেও দু’পক্ষ ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আজিম (আ.লীগ) উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেম্বার রুহুল আমিনের সঙ্গে এ বিরোধ। এরই জেরে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ঘটনাস্থলের পাশেই বাড়িতে থাকা জিয়ারুলের ওপর একটি ককটেল এসে পড়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে তার কোমরের পেছনের দিকের কয়েক জায়গায় মাংস খুলে পড়ে।

সূত্রটি আরও জানায়, আহতরা গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহত জিয়ারুলের ভাস্তি মোসা. জোসনারা বেগম দাবি করেন, তার চাচা জিয়ারুল একজন রাজমিস্ত্রি। ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। দুপুরে ভাত খাবার সময় হঠাৎ সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে হামলা করে এবং এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে চাচা জিয়ারুল গুরুতর আহত হন। আহতাবস্থায় চাচাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের বোন জলি বেগম বলেন, আমার ভাই ঢাকায় কাজ করতো। সে কোনো পক্ষেরই ছিল না। এমনকি এসব ঘটনার কিছুই জানতো না। ঈদের ছটিতে বাড়ি এসে দু’পক্ষের বোমাবাজিতে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে তারা কেউই পুলিশের হাতে আটকের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি হননি। এর বিপরীতে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।

রোববার দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগে ঈদের দিন শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতেও প্রতিপক্ষকে আতঙ্কিত করতে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে শনিবার রাতে কোনো হতাহত বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আনোয়ার রফিক জানান, ককটেলের বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির পিঠের মাংস উড়ে গেছে। এছাড়া হাতে ব্যাপক জখম রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সোনালী/জেআর