ঢাকা | সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ - ৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

উত্তপ্ত চাঁপাই, মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ-মিছিল

  • আপডেট: Thursday, April 20, 2023 - 10:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের শান্তি মোড়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এতে সড়কের দু’দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যান তাঁরা।

এর আগে বেলা ১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বুঝিয়ে নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।

পরে বেলা পৌনে ৩টার দিকে জেলা শহরের ফকিরপাড়া ঈদগাহ ময়দানে প্রথম, নয়াগোলায় দ্বিতীয় এবং তাঁর জন্মস্থান শিবগঞ্জ পৌরসভার মরদানায় তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জেলা শহরের ওয়ালটন মোড়ে নাহালা ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক কোন্দলে নয়, ব্যক্তিগত বিরোধেই জেমকে হত্যা করা হয়।

ঢাকা রেঞ্জের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার আগে তিনি তাঁর নিরাপত্তাহীনতা ও সেই পুলিশ কর্মকর্তার বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। ঈদের আগে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে না পারলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জেমকে হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতেই তাদের আটক করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরেই প্রতিপক্ষরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। রাতেই সন্দেহভাজন দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।

গত বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারি কিনে বাসায় ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার উদয়ন মোড়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে (৫০) কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি শিবগঞ্জ পৌরসভার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। ঘটনার পর রাতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী।

সোনালী/জেআর