ঢাকা | মে ১০, ২০২৫ - ৫:২৫ অপরাহ্ন

ঈদ আনন্দে কালবৈশাখীর শঙ্কা

  • আপডেট: Monday, April 17, 2023 - 9:36 pm

অনলাইন ডেস্ক: টানা কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। দেশের সব প্রান্তেই গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। গরম কমা নিয়ে আপাতত সুখবর নেই আবহাওয়াবিদদের কাছেও।

কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাতের আভাস মিললেও সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে কালবৈশাখীর প্রবণতা বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। ঈদ আনন্দ ভাটা পড়তে পারে কালবৈশাখীর কারণে, মিলছে এমন শঙ্কাও।
নানা জায়গায় ইতিমধ্যে দক্ষিণা বাতাস বইছে, যা সাগর থেকে জলীয় বাষ্প আনা শুরু করেছে।

এতে করে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সম্ভাবনা বেড়ে ১৯ কিংবা ২০ এপ্রিলের দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্যস্থানে আপাতত বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে ২১ এপ্রিল পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এ সময় কোথাও কোথাও তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ও হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। সঙ্গে হতে পারে বজ্রঝড় আর শিলাবৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে দেশের তাপমাত্রা। ঢাকায় ১৬ এপ্রিল গত ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তার আগের দিন চুয়াডাঙায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই রেকর্ড আজ ভেঙে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পর রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে ওই জেলার ঈশ্বরদী। সেখানে আজ সোমবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

১৯৭৫ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।

এদিকে, ঢাকার আকাশে খুব বেশি মেঘের আনাগোনা দেখা না গেলেও দৃষ্টিসীমায় কুয়াশার মতো আবরণ তৈরি হয়েছে। এতে রাজধানীর তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কমলেও গরমের অস্বস্তি আপাতত কমছে না। বরং রাতের তাপমাত্রা বেড়ে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি বাড়বে। আর বাতাস শুষ্ক থেকে ধীরে ধীরে আর্দ্র হওয়ায় ঠোঁট ফেটে যাওয়া এবং শরীর জ্বালাপোড়া কমবে।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS