নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী-ছেলে গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক: সাভারে হাত-পা বাঁধা গাড়িচালক আতিয়ার রহমান (৫১) হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। আতিয়ারের কর্মকাণ্ড ও নির্যাতন সইতে না পেরে তার স্ত্রী তাকে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব।
এর আগে সকালে সাভারের জামগড়া এলাকার রুপায়ন মাঠ ও পাবনার টেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল হত্যাকারী মোছা. দুলালী বেগম (৪৫) ও তার ছেলে মো. সজিব মিয়াকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা নিহতের স্ত্রী ও ছেলে। গত ২২ মার্চ সকালে ঢাকার সাভার উপজেলাধীন জামগড়া রুপায়ন মাঠে হাত-পা বাঁধা আতিয়ার লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে বাবা বাসায় ফিরে না আসা মর্মে গ্রেফতার পুত্র সজিব মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার উত্তর খলেয়ার হাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আতিয়ার রহমান পরিবারসহ সাভারের জামগড়া রুপায়ন মাঠ এলাকায় নিজ বাসায় থাকতেন।
তিনি পেশায় একজন প্রাইভেটকারচালক।
কোম্পানি অধিনায়ক র্যাব-৪ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, আসামি দুলালী বেগমের সঙ্গে ২৭ বছর আগে আতিয়ার রহমানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় এবং বৈবাহিক জীবনে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিতে স্ত্রী-সন্তানসহ আতিয়ার রহমান ১৬ বছর আগে ঢাকায় এসে গাড়িচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। তার স্ত্রী দুলালী বেগম একজন গামেন্টস কর্মী।
জামগড়া রুপায়ন মাঠ এলাকায় তারা একটি বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতেন।
গত ৪ বছর ধরে ভিকটিম জুয়ার প্রতি আসক্ত ছিল এবং স্থানীয় লোকজনের কাছে পাওনা টাকা পরিশোধের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহ চলছিল। এক পর্যায়ে গত ২১ মার্চ রাতের খাবারের পর বাসা থেকে বের হয়ে জুয়া খেলে আবার টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় এবং তাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে মারধর করে।
এক পর্যায়ে স্ত্রী দুলালী ক্ষিপ্ত হয়ে আতিয়ারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মুখে বিষ ঢেলে দেয় ও গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তার ছেলে সজিব মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আতিয়ারের লাশটি রুম থেকে বের করে রুপায়ন মাঠ এলাকায় ফেলে রাখে।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সোনালী/জেআর