ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ২:৫৬ অপরাহ্ন

নানা কর্মসূচিতে নগর আ.লীগের স্বাধীনতা দিবস পালন

  • আপডেট: Sunday, March 26, 2023 - 2:55 pm

স্টাফ রিপোর্টার: নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিসব পালন করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।

রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

পরে সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আ.লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল। আরো বক্তব্য রাখেন বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ ও নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান। আলোচনা সভা শেষে অটিস্টিকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, আজ ২৬শে মার্চ আমরা স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম করছি। আজ বাঙালি জাতির শৃঙ্খল মুক্ত হওয়ার দিন। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে শৃঙ্খল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন, দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা।

তাঁর নির্দেশেই বাঙালি সেই দিন পাকিস্তানী শাসকের অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণপণ যুদ্ধে। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। স্বাধীন দেশে মুক্ত আকাশে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডীন হয়েছিলো।

পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিলো বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন দেশ। দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা আজও আমাদের মাঝে বর্তমান তাঁদের প্রতি অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৭মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তারই প্রেক্ষিতে সংঘটিত হয়েছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর দেখা সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আজ তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তারা বলেন, যারা ১৯৭১এর স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে নি, যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ও ৩ নভেম্বর কারাভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। তারা এখন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, জনগণের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। কিন্তু তারা এই হীন পরিকল্পনায় কখনও সফল হতে পারবে না। তাই আপনাদের সর্বক্ষণ সজাগ থাকতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের এই হীন ষড়যন্ত্র আমরা রাজনৈতিক ভাবে রাজপথে থেকে জনগণকে সাথে নিয়েই মোকাবিলা করবো, তাদেরকে সমুচিত জবাব দিবো। আমাদের আদর্শের জায়গা কখনও পিছপা হবো না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, সদস্য শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, এ্যাড. শামীমা আকতারী, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, মাসুদ আহমদ, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন সহ নেতৃবৃন্দ।

সোনালী/জেআর