মাদারীপুরে বাস দুর্ঘটনা: নিহত বেড়ে ২০
অনলাইন ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০ জন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ১৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ১৮ জনের মরদেহ শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। বাকি ২ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জে গোপীনাথপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া, বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, সদর উপজেলার নশর আলী শেখের ছেলে সজীব শেখ, পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার, টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে করিম শেখ, সদর উপজেলার আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি ও মুকসুদপুর এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ আলী; খুলনার সোনাডাঙা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন, সাউথ মেন্টাল রোড এলাকার চিত্ত রঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসূন ঘোষ, ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদুখা ছেলে মহাদেব কুমার সাদুখা, আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন; বাগেরহাট জেলা শহরের শান্তি রঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার; ফরিদপুরের হিদাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন; নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে ও ইমাদ পরিবহন বাসটির চালক জাহিদ হাসান, চালকের সহকারী মিরাজ এবং পাবনার সুজানগরের গহর আলীর ছেলে ইউসুফ আলী।
এর আগে ওই ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে মরদেহ দাফনের কাজে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
জানা গেছে, রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ১৮ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢামেকে নেয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক জানান, নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০ জন। হতাহত বহু রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে।
সোনালী/জেআর