ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ২:০৭ অপরাহ্ন

নাটোরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুসহ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

  • আপডেট: Friday, February 10, 2023 - 2:22 pm

অনলাইন ডেস্ক: প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাটোরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বন্ধুসহ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর বুধবার রাতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-নাটের সদর উপজেলার মাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩৫) ও তার সহযোগী চাঁনপুর গ্রামের সোনাউল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০)। তবে মূল আসামি প্রেমিক তামিম আহমেদ এখনো পলাতক রয়েছে। তামিম চাঁনপুর গ্রামের কলিম উদ্দীনের ছেলে।

মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকাল ৯টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। ভুক্তভোগীর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর তানোর থানার অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সাথে নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে তামিম আহমেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তানোর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে নাটোরে নিয়ে আসে তামিম। এরপর দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে রাতে মেয়েটিকে একটি কলাবাগানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সকালে তামিম তার বন্ধু মজিদের কাছে মেয়েটিকে রেখে চলে যায়।

এরপর মজিদ ওই ছাত্রীকে একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মজিদ বেলা ১১টার দিকে মেয়েটিকে শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপাসে রেখে চলে যায়। এ সময় স্কুল ছাত্রীটির অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে জানায়। একপর্যায়ে তার মুখে ঘটনা শুনে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারকে জানায়। বিকেলে স্কুলছাত্রীর বাবাসহ পরিবারের লোকজন থানায় এসে মামলা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটির বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে তামিম, মজিদ ও তাদের অপর এক সহযোগী সিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মজিদ ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত তামিম পালিয়ে যায়। তাকে আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

সোনালী/জেআর