ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১২:২৬ অপরাহ্ন

গুরুদাসপুরে পলো বাওয়া উৎসবে মাছ ধরতে মানুষের ঢল

  • আপডেট: Thursday, February 2, 2023 - 4:19 pm

অনলাইন ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুরে আত্রাই নদীতে মাছ শিকার করতে শত শত মানুষের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আত্রাই ও মির্জামমুদ নদীতে দিনব্যাপী চলে মাছ ধরার উৎসব। একসঙ্গে দল বেঁধে মাছ ধরার বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ‘পলো বাওয়া’ উৎসব হিসাবে পরিচিত। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মানুষ দিন ক্ষণ ঠিক করে এক সাথে দল বেঁধে নদীতে মাছ ধরতে যায়।

কালের বিবর্তনে মাছ ধরার উৎসবটি আগের মতো জমকালো না হলেও রীতিটা এখনো আছে। হৈু হুল্লোড় করে মাছ শিকারিরা নদীতে মাছ ধরতে নামেন। নদীর দুই পাড়জুড়ে মাছ ধরা দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য দর্শনার্থী। নদীতে পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন গুরুদাসপুর, তাড়াশ,সিংড়া ও চাটমোহর উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ। পলোতে ধরা পড়ে বোয়াল,শোল,বাউশ, মাগুর গজারসহ বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পুরোদমে শুষ্ক মৌসুম শুরু না হলেও গুরুদাসপুর উপজেলার বুক দিয়ে প্রবাহিত আত্রাইন ও মির্জামামুদ নদীতে প্রতিবছর এ সময়ে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার সৌখিন মৎস শিকারিরা দল বেঁধে উৎসবমুখর পরিবেশে পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

উৎসবের দিন সকালে নিজ নিজ পলো, হাতজাল, উড়াজাল ও লাঠিজালসহ নানা ধরনের মাছ ধরার জিনিসপত্র নিয়ে নদী পাড়ে সমবেত হন সৌখিন মাছ শিকারিরা। ঘড়ির কাটায় নির্ধারিত সময় বেজে উঠতেই সবাই এক সঙ্গে পলো নিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়েও মাছ শিকার করেন আনন্দ নিয়ে।

নদীতে স্থান বিভক্ত করে একদিকে পলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ১০০ জন অপর দিক থেকে পলো নিয়ে হৈ হুল্লোর করতে করতে আসে আরো ১০০ জন। এরপরেই দুই দল মুখোমুখি অবস্থানে পৌঁছলে নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করতে থাকে । সকাল ১১টায় শুরু হওয়া মাছ ধরার এই উৎসব চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

পাশ্ববর্তী উপজলোর চাটমোহর থেকে আসা মাছ শিকারী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের দু একদিন মাছ শিকার করার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। সবাই মিলে একসঙ্গে মাছ ধরার আনন্দটাই আলাদা। তবে দিন দিন পরিবেশ ও আবহাওয়ার প্রতিকুলতার কারণে নদী-নালা,খাল-বিল,হাওয়েরর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি হ্রাস এবং অধিকাংশ নদীতে সুতিজাল, কাঠা দেওয়ার কারণে পলো বাওয়া উৎসব এখন অনেকটাই ভাটা পড়েছে। প্রাচীন এ উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে হলে সবার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন’।

সোনালী/জেআর