শিক্ষানগরী করে দিয়েছি, এবার ‘সুশিক্ষিত’ শিক্ষার্থী চাই: বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষানগরীতে শুধুমাত্র ‘শিক্ষিত’ শিক্ষার্থী নয়, বরং আগামীতে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে নিজেকে ‘সুশিক্ষিত’ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে হোসেন বাদশা।
তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় শিক্ষার সমৃদ্ধ পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে রাজশাহীকে আমরা শিক্ষানগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। এখানকার ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় বারবার ভালো রেজাল্ট করে রেশমের নগরীকে শিক্ষানগরী হিসেবে পরিনত করতে আমাদের সহায়তা করেছে। এতে আমরা গর্ববোধ করি। তবে আমি চাই, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষানগরীতে শুধুমাত্র ‘শিক্ষিত’ শিক্ষার্থী নয়; আগামীতে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে ‘সুশিক্ষিত’ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠুক।
বুধবার সকালে শহরের শাহমখদুম কলেজ কর্তৃক আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিখির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমপি বাদশাকে অনুষ্ঠানস্থলে বরণ করে নেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে শাহমখদুম কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়া কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে উৎসাহ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে এমপি বাদশা বলেন, সাংসদ হওয়ার পর প্রথম যেদিন এই কলেজে আসি; সেদিন দেখেছিলাম- কলেজের মাঝখানে ডোবা এবং চারপাশে অস্বাস্থ্যকর জঙ্গল। এই এলাকার যত গরু-ছাগল, তারা এই জঙ্গলে ঘাষ খেত। কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল মাত্র সাত জন। আমার মনে নাড়া দিয়েছিল, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন পরিবেশ হতে পারে না! এটি পাল্টানো দরকার। আজকে তাকিয়ে দেখুন, শাহমখদুম কলেজের চিত্র পাল্টেছে কিনা! কলেজে গরু আর ঘাষ খায় না। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সাত জন নয়। এখান থেকে ছেলেমেয়েরা পাশ করে এখন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নিজের উন্নয়ন কর্মজজ্ঞের কথা তুলে ধরে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক বলেন, ১৪ বছর আগের রাজশাহী এবং এখন রাজশাহীর মধ্যে অনেক পার্থক্য। শহরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন পরিকল্পিত উন্নয়নের আওতায়। রাস্তা দিয়ে গেলে দেখতে পাবেন, স্কুল-কলেজগুলোতে এখন নতুন নতুন আধুনিক ভবন। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষার জন্য যেমন পরিবেশ প্রয়োজন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহযোগিতায় আমরা সেটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে তথ্য-প্রযুক্তিগত আরো অনেক পরিকল্পনা আছে, সুযোগ পেলে সেসব বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহমখদুম কলেজের অধ্যক্ষ এস এম রেজাউল ইসলাম। এসময় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর নুরুল আলম, গভর্নিং বডির সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালসহ কৃতি ও নবীণ-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শাহমখদুম কলেজের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস