ঢাকা | মে ৮, ২০২৪ - ১১:২৮ অপরাহ্ন

করোনায় ঝরে পড়া শিশুরা আর ফেরেনি বিদ্যালয়ে

  • আপডেট: Monday, January 9, 2023 - 11:15 am

অনলাইন ডেস্ক: প্রকৃতির বিরূপ পরিস্থিতিতে ঝরে পড়ছে স্কুলশিক্ষার্থীরা। টানা দু’বছর করোনার অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা খাতে বড় কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ঝরে পড়ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা। কভিড-১৯ সংক্রমণকালে ও পরবর্তী সময়ে শিখন ঘাটতি মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে বাল্যবিয়ের শিকার ও শ্রমঘন কাজে জড়িয়ে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে ছিল না সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম।

ফলে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। টানা তিন বছরের তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, স্কুল পর্যায়ে ঝরে পড়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে লিঙ্গসমতা অর্জনসহ শিক্ষার নানা সূচক নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্নেষণ করে এই চিত্র মিলেছে। এতে দেখা গেছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সাড়ে ৯ লাখ শিশু আর বিদ্যালয়েই আসছে না। তাদের প্রায় সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান, যার অর্ধেকই আবার কন্যাশিশু। করোনাকালে পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অভিভাবকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের শ্রমঘন কাজে সংযুক্ত করেছেন।

আর কন্যাশিশুদের বড় একটা অংশেরই বাল্যবিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, ২০২০ সালে কভিড-১৯ সংক্রমণের পর ২০২১ সালে দেশের অর্ধেকের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৮১ হাজার শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে ৪৭ হাজারের বেশি ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার। আর শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে ৪ লাখ ৬২ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী বার্ষিক পরীক্ষা দেয়নি। এই দুই বছরে প্রাথমিক স্তরের অন্তত পাঁচ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় বসেনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের বড় অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিকের ভর্তিতে শতভাগ এনরোলমেন্ট, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর লিঙ্গসমতা অর্জনসহ আরও বেশ কিছু বিষয়। অনেক দিন ধরে বহু কষ্টে আমরা সেগুলো অর্জন করেছি। ঝরে পড়ার বর্তমান উদ্বেগজনক হার ও প্রবণতা সেই অর্জনগুলোকে নষ্ট করে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যারা গত দু’বছরে স্কুল ছেড়ে চলে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে হলে বড় ধরনের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ দরকার। প্রান্তিক পরিবারগুলোর আয় বাড়াতে সহায়তা ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

উপবৃত্তির টাকার পরিমাণ ও আওতা আরও বাড়াতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, করোনাকালে ও করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা এসব দেখিনি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, করোনার দুই বছরে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের অন্তত ১৫ শতাংশ শিশু শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে গেছে। এই শিশুদের বেশিরভাগই দরিদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের। পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় এবং মূল্যস্ম্ফীতির কারণে বাল্যবিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার কন্যাশিশুকে।

নানা সূচকে ঝরে পড়ার তথ্য : প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের ঝরে পড়ার তথ্য বিভিন্ন শিক্ষার সূচকে ধরা পড়ছে। বিভিন্ন শ্রেণির শিশুরা স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার তথ্য মিলেছে ২০২১ ও ২০২২ সালে বার্ষিক পরীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণে বিরত থাকার মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণে সরকার বিনামূল্যের পাঠ্যবইও ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ ও ২০২২ সালে কম ছেপেছে। পাঠ্যবই ছাপার আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে হিসাব করে থাকে।

মাউশির করা জরিপের তথ্য বলছে, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে দেশের অর্ধেকের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৮১ হাজার শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে ৪৭ হাজারের বেশি ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। আর শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী। বাকিদের অনুপস্থিতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ওই তথ্য সংগ্রহ করে। বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০ হাজার ২৯৪টি।

এর আগে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২০২১ সালের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ব্যানবেইসের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় মোট ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার। অর্থাৎ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর শিক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৬২ হাজার।

মাউশির জরিপ বলছে, ২০২১ সালে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৬১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে ও ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ায় বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিত শিশুশিক্ষার্থীর বড় অংশেরই ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, মৌসুমি কাজে অনেক শিক্ষার্থী মা-বাবাকে সহায়তা করে বা এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় গিয়ে অর্থের বিনিময়ে শ্রম দেয়।

বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রকাশ করা ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০২১’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা শেষে বিদ্যালয় খোলার পর শহরের বস্তি ছাড়া গ্রামীণ, শহর এবং শহরতলি এলাকার ৯৭ থেকে ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরে এসেছে। বাকিরা আর ফেরেনি। শহরের বস্তি এলাকায় বিদ্যালয়ে ফেরত আসার হার ৯০ শতাংশ।

অভিভাবকরা জরিপকালে বলেছেন, তাঁদের আশপাশে স্কুলে ফিরে যায়নি এমন শিশুর হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ, শহরের বস্তিতে যা প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭ থেকে ২০ শতাংশ উল্লেখ করেছেন, তাঁরা এমন সহপাঠী বা আত্মীয়দের সম্পর্কে জানেন, যাঁদের শিশুরা অতিমারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন স্কুল থেকে কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এবং সেখানেই রয়ে গেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুন্নাহার লিপি বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে নগরের প্রান্তিক পরিবারের সন্তানরা পড়ালেখা করে। তাদের প্রতিদিন বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে এবং ধরে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। অভাবের কারণে অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের আয়বর্ধন কাজে সম্পৃক্ত করে ফেলেন। তাদের ফিরিয়ে আনা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, পরিবারের আয় ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাভাবিকভাবেই বাবা-মা ছেলেসন্তানটিকে শ্রমঘন কাজে আর মেয়েটিকে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেন। কেবল বাংলাদেশ নয়, এশিয়া ও আফ্রিকার বহু উন্নয়নশীল দেশে করোনা-পরবর্তী সময়ে এই চিত্র ধরা পড়ছে। শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার ঘোষণা না করতে পারলে এ থেকে উত্তরণের পথ নেই।

এনসিটিবির হিসাবে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জন্য প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২ কপি বই ছাপানো হয়। আর ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছিল। ওই সময় সারাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থী ছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। এবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জন্য ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩টি বই ছাপানো হয়েছে।

দু’বছরে বাল্যবিয়ের হিড়িক: সরকারি প্রতিষ্ঠান মাউশি বলছে, কেবল ২০২১ সালে মাধ্যমিকের ৪৭ হাজার ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে। তাদের তথ্যমতে, গত ডিসেম্বরে ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় পৌনে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে শিশুশ্রমে যুক্ত ৭৮ হাজার। দেশের ২০ হাজার ২৯৪ বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১ হাজার ৬৭৯টির তথ্য পেয়েছে মাউশি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে। মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ‘কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২২’-এর তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশের ২৮টি জেলায় ২ হাজার ৩০১ জন কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি মাসে ২৮৮ জন কন্যাশিশুর বাল্যবিয়ে এবং একই সময়ে ৫৮৯টি প্রতিরোধ করা হয়েছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার বলেন, দেশের শিশুরা ভালো নেই। বাল্যবিয়ের পাশাপাশি যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয় ১৩ জন এবং হত্যা করা হয়েছে পাঁচজনকে।

বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাকালে দেশে গড়ে প্রতিদিন ৬৫টি করে বাল্যবিয়ে হয়েছে। সাত মাসে ২১ জেলার ৮৪ উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৮৮৬টি বাল্যবিয়ের তথ্য পেয়েছে তারা। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের মোট ২১ জেলায় জরিপ চালিয়েছে সংস্থাটি।

প্রতিষ্ঠানটির কো-অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস জানান, এই বাল্যবিয়ের কারণ হিসেবে তাঁরা যা জেনেছেন, তার মধ্যে রয়েছে- স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়েদের নিরাপত্তা সংকট, অভিভাবকদের কাজ হারানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। তা ছাড়া বাল্যবিয়ের যেহেতু একটি ট্রাডিশন আছে, তাই করোনাকে বিয়ে দেওয়ার সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন অনেকে।

করোনাকালে ড্রপআউট শিশুশিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির কাজ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি। অনলাইন ক্লাসে অনুপস্থিতি ধরে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ওই তালিকা করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, করোনাকালে কিছু ঘটনা হয়তো ঠেকানো যায়নি, তবে বর্তমানে প্রাথমিক স্তরের কন্যাশিশুদের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, নারীশিক্ষার বড় হুমকি বাল্যবিয়ে। এটি প্রতিরোধে আমরা সদা সজাগ।

সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (সদ্য অন্যত্র বদলি হয়েছেন) সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে ড্রপআউটের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের কাজ চলছে। স্কুলে ছেড়ে যাওয়াদের ফিরিয়ে আনতে সরকার যা করা প্রয়োজন তা করবে।

সোনালী/জেআর