মিল চালু না হতেই ‘অবৈধ’ মজুত, দুই হাজার টন ধান উদ্ধার
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/12/Untitled-1-samakal-63a56c339021d.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: বগুড়া সদরে অবৈধভাবে মজুত করা দুই হাজার টন ধান উদ্ধার করেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মানিকচক এলাকার মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন রাইস মিল থেকে এসব ধান উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া ধানগুলো নিয়ে এসেছে মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেড। তাদের নির্মাণাধীন অটো রাইস মিলে বৃহস্পতিবার থেকে ধান ভর্তি ট্রাক আসা শুরু করে।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মানিকচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের তিনটি রাইস মিল স্থাপনের কাজ চলছে। এখনও মিলগুলো চালু হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে এখানে একাধিক ট্রাকে করে ধান আসছে, এমন একটি খবর আসে।
খবর পেয়ে মিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩৪ ট্রাকে প্রায় ৬৫০ টন এবং মিল ক্যাম্পাসে আরও ১৪শ টন ধান পাওয়া যায়। এসব ধানের কোনো বৈধ কাগজ না থাকায় অবৈধ বলে উল্লেখ করছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর।
এ বিষয়ে তানভীর ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ডিজিএম প্রকৌশলী কেতাউর রহমান বলেন, আমাদের রাইস মিলে ধান ভাঙার ট্রায়াল করতে হবে। এ জন্য এই ধানগুলো আনা হয়েছে। এই অটো মিলে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪০ টন ধান ভাঙার ক্যাপাসিটি রয়েছে।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, এখানে আসার পর এই অটো রাইস মিলের কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। যেহেতু রাইস মিল চালু হয়নি, তাই মিল চলার লাইসেন্সও পায়নি তারা। আবার চাল নিয়ে আসার জন্য আমদানিকারকের লাইসেন্স দরকার, সেটিও দেখাতে পারেননি। সুতরাং এই ধানগুলোকে আমরা অবৈধ বলব।
মনিরুল ইসলাম জানান, অবৈধ ধান উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হবে। আর রাইস মিল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত লাইসেন্স করে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক জানান, বৃহস্পতিবার উপেজলা পরিষদের একজন ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে সংবাদ দেন যে বিপুল পরিমাণ ধান অবৈধভাবে মজুত করা হচ্ছে। এরপ্রেক্ষিতে আমি খাদ্য কর্মকর্তাকে অবগত করলে তারা অভিযান পরিচালনা করেন।
সোনালী/জেআর