সুবিধাবাদী রাজনীতির ফাঁক দিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকশিত হচ্ছে: বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: চলমান সুবিধাবাদী রাজনৈতিক ধারার ফাঁক দিয়ে নতুনভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশ ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। গজিয়ে ওঠা এই ধারার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সঙ্গে “কোন বন্ধু” সেভাবে পাশে নেই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রোববার বিকালে বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর অষ্টম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচিকাঁচা মিলনায়তনে এই উদ্বোধনী সভার আয়োজন করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এদেশে কাদের হাত ধরে সাম্প্রদায়িকতার পুনর্বিন্যাস ঘটেছিল তা সকলের জানা। বারংবার বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি; তাঁরাই তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়েছি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে নতুন রুপে ফিরে আসা সাম্প্রাদায়িকতা রুখতে তেমন কোন বন্ধু বা লড়াই পরিলক্ষিত হচ্ছে না, যা আমাদের জন্য চরম হতাশার।
দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে রাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, শহীদ জামিল আখতার রতন, শহীদ রাসেল, শহীদ জুবায়ের চৌধুরী রিমুর মতো অসংখ্য প্রগতিশীল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে- শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে। ওয়ার্কার্স পার্টি, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী সেদিন যে আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করেছে, আজও সে রাজনীতির ধারাতেই পথ চলছে।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন উদ্বোধনী সভার উদ্বোধন করেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, দলের পলিটব্যুরোর সদস্য নূর আহমেদ বকুল অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর থেকে আগত যুবমৈত্রীর নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। আগামীকাল সোমবার সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনের মধ্যদিয়ে কেন্দ্রীয় যুবমৈত্রীর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে।
সোনালী/জেআর