ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ২:৩৬ অপরাহ্ন

ম্যারাডোনাকে মনে করিয়ে দিলেন আলভারেজ

  • আপডেট: Wednesday, December 14, 2022 - 11:22 am

অনলাইন ডেস্ক: রিভারপ্লেটে খেলার সময় হুলিয়ান আলভারেজকে দর্শক, এমনকি ডেসিংরুমে সতীর্থরাও ‘স্পাইডার’ নামে ডাকত। সেই স্পাইডারের গতিতেই যে চূর্ণ-বিচূর্ণ হলো ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। গতকাল রাতে সেমিফাইনালে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের ৩-০ গোলে হারায় আকাশি-সাদারা। যে ম্যাচের নায়ক আলভারেজই; করেছেন দুটি গোল। আরেকটি গোল পেনাল্টি থেকে করেছেন লিওনেল মেসি, যেটার ক্রেডিটও অনেকটা আলভারেজের। কেননা তার নিশ্চিত আক্রমণ ডি-বক্সে থামিয়েই পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা।

তবে কাল লুসাইল স্টেডিয়ামে আলভারেজের শরীরে যেন ভর করেছিল ম্যারাডোনা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মেসির মাপা পাস থেকে আলভারেজ যে দৌড়টা দিলেন! ম্যাচের পর মিডিয়া সেন্টারে আর্জেন্টাইন সাংবাদিকরা বলাবলি করছিলেন- ছিয়াশি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে ওই গোলটির সঙ্গেই কেবল আলভারেজের কালকের গোলটি তুলনা করা যায়। এরকম দুর্দান্ত গোল এই বিশ্বকাপে আর কে দিয়েছে! এভাবে মাঠের মাঝ থেকে একাই দৌড়ে এসে গোল দেওয়া, এটাকে তো এই বিশ্বকাপেরই সেরা গোলের তালিকায় সবার উপরে রাখা যায়।

যদিও ছিয়াশির বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হয়েছিল। আর এদিন আলভারেজ ভাগ্যবান এ জন্যই যে, ডি-বক্সে দুই ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল ফের তার কাছে চলে আসে। তারপরও আলভারেজের এই গতি আর রিফ্লেক্সে ভীষণ খুশি সে দেশের মিডিয়া। তারা আরও মুগ্ধ, এত দিনে মেসি অন্তত একজন সহকারী পেয়েছেন; পাস দিলে যিনি কিনা গোল করতে পারেন।

আলভারেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটিই যার উদাহরণ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে অন্তত ছয় ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান দিক থেকে যে পাসটি বাড়িয়েছিলেন মেসি, তা গোলমুখে ফেলতে বিন্দুমাত্র সংশয়ে ভুগতে হয়নি আলভারেজকে। মেসির এই ছন্দময় আর্জেন্টাইন ব্রিগেডকেই এবারের ফাইনাল ম্যাচেও দেখতে চান সবাই- তা ফাইনালের প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন।

সোনালী/জেআর