ঢাকা | মে ৭, ২০২৪ - ৫:২৭ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

  • আপডেট: Sunday, December 4, 2022 - 3:22 pm

অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিমের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।

নিহত মেহেরাজ হোসেন ফাহিম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী (২৫তম ব্যাচ) ছিলেন।

জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মেহেরাজ হোসেন ফাহিম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় গেটের সামনে ফরিদের ভাজা-পোড়ার দোকানে নাস্তা খেতে যান। আলুর চপে ময়লা থাকা নিয়ে ফরিদের সঙ্গে ফাহিমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফরিদের ছেলে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার ছুরি দিয়ে ফাহিমকে আঘাত করেন।

পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাসে সড়ক ছাড়েন তারা। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে।

ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, শজিমেক হাসপাতালে থাকার কয়েকদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফাহিমকে ঢাকার এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওখানকার চিকিৎসকদের কাছে থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ছুরিকাঘাতের পর ফাহিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। সেটি আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, ফাহিমের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তার পেটের ভেতরে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, এ ঘটনায় প্রধান দুই আসামি বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা জেলহাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হবে।

সোনালী/জেআর