ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ২:১০ অপরাহ্ন

ডেঙ্গুতে প্রতি ঘণ্টায় ভর্তি ৩০ রোগী

  • আপডেট: Tuesday, November 8, 2022 - 12:52 pm

অনলাইন ডেস্ক: সারাদেশেই তাপমাত্রা কমছে। তবুও কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিদিনই শনাক্ত রোগীর প্রায় অর্ধেকই রাজধানীর বাইরে দেখা যাচ্ছে। জানা গেছে, দেশের ৬৩ জেলাতেই ছড়িয়েছে ডেঙ্গু।

এদিকে, চলতি মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে এর প্রকোপ কিছুটা কমতে পারে।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে, দেশে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় প্রায় ৪৪ হাজার রোগী। পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হলেও মারা যাচ্ছেন বেশি নারীরা। মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ ভাগই হাসপাতালে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ছাড়া ডেঙ্গু ছড়িয়েছে বাকি সব জেলাতেই। চট্টগ্রাম, মাদারীপুর, কুমিল্লা, গাজীপুর ও কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা গেছে।

যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলায় ৬৫০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে অভয়নগরেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৬ জন। ২৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ সপ্তাহে পাবনা ও কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগী কিছুটা কমেছে। এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৬ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। এ জেলার আক্রান্তরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কর্মরত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালে ৮০ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। আর পুরো জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ২০০। তবে বেশিরভাগ রোগী ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে আসা।

মাদারীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় নতুন ছয় জন রোগীসহ চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৮ জন। জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯৫ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া, মৌসুম শেষে ঝুঁকিতে আছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জ ও বরিশাল।

উল্লেক্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে রোগী শনাক্ত হয় সাড়ে ৩ হাজার। পরের বছরের একই মাসে তা ৫৪৬ জন। আর এ বছরের নভেম্বরের প্রথম আট দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ছয় হাজার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, দেশে গত ৪০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার রোগী। মারা গেছেন ১২২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলছেন, মশার উৎস বন্ধ না হলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে।

সোনালী/জেআর