শাহরিয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্তের দাবি এমপি বাদশার
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও রামেক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে শাহরিয়ারের মরদেহ ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন কোনোরকম পোস্টমর্টেম ছাড়াই। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মামলা করেছি। আমরা চাই, কবর থেকে তুলে তার লাশের পোস্টমর্টেম করা হোক।’
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা রাজশাহী থেকে এসেছিল তাদের সবার ভিডিও ফুটেজ আছে, তাদের চিহ্নিত করা হোক। তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল সেটাও প্রশাসনের দেখা দরকার।’
‘এখানকার চিকিৎসকরা শুধু রাজশাহী জেলার চিকিৎসা করেন না; পার্শ্ববর্তী দশটি জেলার চিকিৎসা নিরলসভাবে দিয়ে যাচ্ছেন। আর এই মেডিকেলের সরকারি জিনিস ভেঙে ফেলেছে। যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক’, যোগ করেন রামেক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।
এ সময় একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ও রামেকের অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে শনিবার থেকে তিনদিনের (৭২ ঘণ্টা) কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছেন রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
দুপুর ২টার দিকে মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের বেঁধে দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আগামী তিনদিন আবার কর্মবিরতি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটের সামনে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে একদিন কর্মবিরতির পর শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে নির্ধারিত ডিউটিতে ফেরেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ছাদ থেকে পড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রামেক হাসপাতালে ভাঙচুর চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপরও হামলা চালান।