ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

দুইদিনব্যাপি জীবনানন্দ কবিতা মেলা শুরু

  • আপডেট: Friday, October 21, 2022 - 11:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী দশম জীবনানন্দ কবিতামেলা। নগরীর শাহমখদুম কলেজ প্রাঙ্গণে এই কবিতামেলার আয়োজন করেছে রাজশাহীর সাহিত্য সংগঠন কবিকুঞ্জ। এতে দুই বাংলার প্রায় ২৫০ জন কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার ও সাংস্কৃতিকর্মী অংশ নিয়েছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় কবিতামেলার উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ৎএ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কবি জুলফিকার মতিন। একইসঙ্গে কবিকুঞ্জের পতাকা তোলেন সংগঠনের সভাপতি কবি রুহুল আমিন প্রামানিক। পরে জুলফিকার মতিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এবারের আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে। উদ্বোধনের পর মঞ্চের সামনে রাখা হাসান আজিজুল হকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। একমুঠো ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে হাসান আজিজুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। এরপর অন্যান্য অতিথিরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করে প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, কবি জুলফিকার মতিন, আসাদ মান্নান, ওপার বাংলার কবি সৈয়দ হাসমত জালাল, প্রাণজি বসাক, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কল্পনা রায় প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন কবিকুঞ্জের সভাপতি রুহুল আমিন প্রামানিক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার। এরপর অন্যান্য অতিথিবৃন্দ একে একে বক্তব্য দেন। কবিতামেলার উদ্বোধক কবি জুলফিকার মতিন বলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে এসেছে মানুষ হিসেবে তার অস্তিত্বকে প্রকাশ করার জন্য। জীবনের দুটো দিক রয়েছে। একটি হলো তার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম-জীবন সংগ্রাম। আরেকটি তার মানুষ হয়ে ওঠার সাধনা। সৃজনশীলতার অগ্রবর্তী পথিক হিসেবে কাজ করেন কবিরা। কবিদের এই মিলনমেলা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

কবি আলমগীর মালেক ও শাহনেওয়াজ প্রামানিক সুমন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। শুক্রবার দুপুরে কবিতামেলার প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় বিকালে। দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রথম পর্বে আবৃত্তি এবং কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ হয়। দ্বিতীয় পর্বে আলোচনায় অংশ নেবেন ভারতের কবি মোস্তাক আহমেদ, কবি গৌতম মিত্র এবং অধ্যাপক গোলাম কবির। এ পর্বেও আবৃত্তি ও কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ হয়। তৃতীয় পর্বে আছে গল্পপাঠ।
শনিবার প্রথম পর্বে রয়েছে কবিতাভ্রমণ, আবৃত্তি ও কবিতাপাঠ। দ্বিতীয় অধিবেশনে দেওয়া হবে কবিকুঞ্জ পদক। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন রবীন্দ্র গবেষক ও বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা। কবিতায় পদক পাচ্ছেন বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা কবি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

এছাড়া ছোটকাগজ ‘চিহ্ন’ এ বছর কবিকুঞ্জ পদক পাচ্ছে। চিহ্ন সম্পাদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল পদক গ্রহণ করবেন। রাতে আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন এবং স্বরচিত কবিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে দুই দিনের এই কবিতামেলা শেষ হবে।