ঢাকা | ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ - ২:৫৫ পূর্বাহ্ন

গল্প-আড্ডায় প্রয়াত সাহিত্যিকদের স্মরণ

  • আপডেট: Monday, October 17, 2022 - 11:09 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গল্প-আড্ডায় প্রয়াত সাহিত্যিকদের স্মৃতি তর্পণ করেছেন বর্তমান সময়ের সাহিত্যিকেরা। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন চত্ত্বরে ‘প্রয়াত-প্রিয়জন’ অনুষ্ঠানে দুই বাংলার প্রখ্যাত পাঁচজন প্রয়াত সাহিত্যিকের স্মৃতিচারণ করা হয়। ‘চিহ্নমেলা মুক্তবাঙলা’ এ স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলা একাডেমির পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতান’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠাতেন প্রয়াত শঙ্খ ঘোষের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ওপার বাংলার লেখক ইমানুল হক বলেন, শঙ্খ ঘোষ একাধারে একজন কবি, লেখক, শিক্ষক, একটি সামাজিক জীবন ও দর্শন ধারণ করেছিলেন। তিনি প্রেমের কবিতাও লিখেছেন। তিনি সামাজিক মানুষ। শঙ্খ ঘোষ মানুষের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। কারো লেখা ভালো লাগলে সবাইকে লেখাটা পড়তে বলতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম দেবেশ রায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি পঞ্চাশ দশকের মানুষ কিন্তু চিন্তায় এই প্রজন্মের মানুষ ছিলেন। তিনি বাম ঘরাণার মানুষ ছিলেন। তিনি নন্দনতত্ত্ব চর্চা ও আয়ত্ত্ব করেছিলেন। দেবেশ রায় ভাষা সম্পর্কে অন্তর্নিহিত অর্থ তুলে ধরতেন। তিনি নিজেকে পোস্ট কলোনিয়াল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে আনিসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মুসলিম বাংলার সাহিত্যকে তিনি পথ দেখিয়েছেন। তার অবদান শুধু লেখায় নয়, তিনি আড্ডায়, রুচি সব জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ভিতরে কোনো জড়তা ছিলো না। সৃষ্টিশীলতায় সমন্বয় ঘটেছিলো তার জীবন চরিত্রে।

প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্মৃতি তর্পণ করে দেশবরণ্যে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, আমার সাথে সৈয়দ শামসুল হকের অম্ল-মধুর সম্পর্ক ছিলো। শামসুল হক বহুমাত্রিক লেখক ছিলেন। আমার সাথে তার পত্রযোগ ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় তিনি লন্ডনে ছিলেন। তখন তিনি চিঠিতে আমাকে বলেছিলেন তিনি দেশে ফিরতে চান। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। নিজেকে সব্যসাচী লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক বলেন, হাসান আজিজুল হকের ‘শকুন’ গল্পটি একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী গল্প। তিনি রাজশাহীতে আমাদের অভিভাবকদের একজন ছিলেন। তিনি আমাদের ঘুম তাড়ানো মানুষ ছিলেন। দেশের মানুষ ছুটে আসতেন তার টানে। বাংলা ভাষাভাষীর মান্ষু তাকে স্মরণ করবেন।

সাহিত্যের ছোট কাগজ প্রতিবারে তাদের আয়োজনে মধ্যে প্রয়াত সাহিত্যিকদের স্বরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পঞ্চম আসরেও এই আয়োজন ছিল।