ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৩:১৬ অপরাহ্ন

পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে পরিযায়ী পাখিদের বাঁচতে দিতে হবে

  • আপডেট: Saturday, October 8, 2022 - 11:04 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘ম্লান করলে রাতের আলো পাখিরা থাকবে আরও ভালো’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে নগরীর কাজিহাটাস্থ শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ হল রুমে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও বন অধিদপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার আগে অতিথিররা সিঅ্যান্ডবি মোড়ে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন।

আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মেদ নিয়ামুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইসেন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালের ডেপুটি চিফ ভেটোরিনারিয়ান ড. হেদায়েতুল ইসলাম আরিফ, সামাজিক বন বিভাগীয় রাজশাহীর সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামান, শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়াম্যান আরটিএন এম এ মান্নান খান ও রাজশাহী সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সভায় প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় এবং আবহাওয়ার ভারসাম্য ঠিক রাখতে পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। এই পাখি শীত মৌসুমে আসে। পাখিগুলো শীত প্রধান দেশের হলেও শীতের সময় পুরো বনাঞ্চল বরফে ঢেকে যায়। নদী নালাও বরফে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে তাদের খাবারের সঙ্কট দেখা দেয়। সেইসাথে প্রজননেরও সমস্যা হয়। সে কারণে এই পাখিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসে। এই পাখিগুলো আসাতে বাংলাদেশের পরিবেশের উন্নয়ন ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।

বক্তারা আরও বলেন, পরিযায়ী পাখি প্রায় তিনশ প্রজাতীর হয়ে থাকে। এই পাখিগুলো মানুষকে যেমন আনন্দ দেয় তেমনি বাঁচতে সাহায্য করে। সেজন্য পরিযায়ী পাখি কোনভাবেই শিকার ও হত্যা করা যাবেনা। আর যদি কেউ করেন সরকারীভাবে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। জেল জরিমানাটা মূখ্য নয়। পাখি শিকার রোধে সবাইকে সচেতন হবে। সেইসাথে পরিযায়ী পাখির উপকারিতা এবং এটা লঙ্ঘন করলে কি শাস্তির বিধার রয়েছে সে সম্পর্কে বেশী বেশী প্রচার করতে হবে। সেইসাথে পাখিদের অবাধ বিচরণে রাতের আলোর সংখ্যা কমাতে হবে। এছাড়াও এই পাখিদের অভয়রান্য করা এবং ব্যপকভাবে বৃক্ষরোপন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারা। এছাড়াও কোথাও এই ধরনের পাখি শিকার করতে দেখলে বাধা প্রদান এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ সদস্য ও বন বিভাগগে জানানোর অনুরোধ করেন তারা।