ঢাকা | নভেম্বর ১৯, ২০২৪ - ৪:২১ পূর্বাহ্ন

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি: ৪৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট: Thursday, September 22, 2022 - 11:08 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: নিজেদের উৎপাদিত ও সরবরাহ করা পণ্যে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতা কমিশনের মামলার মুখে পড়ল বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটিসহ ৪৪ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিটি গ্রুপ, রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস, বেলকন গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড।

চাল, তেল, সাবান, আটা, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ও সরবরাহ খাতের এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে দাম বাড়ানোসহ আরও কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে কমিশনেই পৃথকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম মামলা করার কথা জানিয়ে বলেন, এখন নিয়ম অনুযায়ী শুনানি শেষে এসব মামলা নিষ্পত্তি করা হবে। কমিশন বিভিন্ন অবস্থা ও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে এসব মামলা করেছে।

প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী, উৎপাদন, সরবরাহ, খুচরা ও ভোক্তা যে কোনো পর্যায় থেকে কমিশনে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। আবার কমিশন নিজেও মামলা দায়ের করতে পারে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কমিশন নিজেই মামলা করেছে। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাননি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেশ কিছু কোম্পানির মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি মামলার শুনানি হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

করোনা মহামারীর পর বিশ্ব বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি, ইউক্রেইন যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পণ্য পরিবহনে জাহাজের ভাড়া বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে গত কয়েক মাস ধরে দেশের নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খাদ্য ও খাদ্য বর্হিভূত নিত্যপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম।

এরমধ্যে চাল, সয়াবিন তেল, চিনি, প্রসাধনী সামগ্রী, ডিম, মুরগিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম ৪০ শতাংশ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সরবকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিযানে নামে। এরমধ্যে বিভিন্ন খাতে উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে অভিযানকালে বেশ কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের ডেকে বৈঠক করে সংস্থাটি।

নিত্যপণ্যের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বাড়াতে ভোক্তা অধিকারের চিহ্নিত অনিয়ম এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা দাম নিয়ে কারসাজির তথ্য যাচাই বাছাই করে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার তথ্য পেয়ে প্রতিযোগিতা কমিশন মামলায় যায়।

কমিশনের একটি সূত্র জানায়, বেশি মামলা করা হয়েছে চাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে। এ খাতের ১১টি বড় প্রতিষ্ঠান ও ৮টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এছাড়া আটা ময়দা উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ৮টি, ডিম উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ৬টি, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত ৬টি, সাবান ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন ও বিপণনে যুক্ত ৬টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।