ঢাকা | সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ - ৫:৪১ পূর্বাহ্ন

যাচাই-বাছাইয়ে চেয়ারম্যানসহ তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

  • আপডেট: Sunday, September 18, 2022 - 11:20 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। রোববার প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনজন। সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১৮ জন নির্বাচনের মাছে নামছেন।

তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করায় চেয়ারম্যান পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবালের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঋণখেলাপির দায়ে ৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের (দুর্গাপুর) মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন ও রেজাউল করিমের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। এ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থী থাকলেন চারজন।

বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, পবা উপজেলার বড়গাছি এলাকার আফজাল হোসেন এবং গোদাগাড়ীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার।

সংরক্ষিত ১ নম্বর নারী ওয়ার্ডে (গোদাগাড়ী, তানোর, পবা, সিটি কর্পোরেশন) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। এরা হলেন, কৃষ্ণা দেবী, সাইদা ইয়াসমিন, রিতা বিবি ও শিউলী রানী সাহা। ২ নম্বর ওয়ার্ডে (মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর) সাতজন। এরা হলেন, পারভীন বিবি, সুলতানা পারভীন, ফিরোজা খাতুন, রাবিয়া খাতুন, লাল বানু, নারগীস বিবি ও নাছিমা বেগম। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (পুঠিয়া, চারঘাট, বাঘা) সাতজন। এরা হলেন, ফারজানা ইয়াসমিন সাথী, ময়না খাতুন, সাজেদা বেগম. মুনজুরা বেগম, জয় জয়ন্তী সরকার, মর্জিনা বেগম ও লিপি খাতুন।

সাধারণ সদস্যের ১ নম্বর ওয়ার্ডে (গোদাগাড়ী) বদিউজ্জামান, আব্দুর রশিদ ও শামসুজ্জোহা। ২ নম্বর ওয়ার্ডে (তানোর) শরিফুল ইসলাম, উজ্জল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মাইনুল ইসলাম ও মৃদুল কুমার ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে (পবা-সিটি) পাঁচজন প্রার্থী আছেন। এরা হলেন, তফিকুল ইসলাম, এমদাদুল হক, হাফিজুল রহমান, নফিকুল ইসলাম ও মাহাবুব আলম খান। নম্বর ওয়ার্ডে (মোহনপুর) দিলীপ কুমার সরকার বিনা প্রতিদন্দিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

৫ নম্বর ওয়ার্ড (দুর্গাপুর) চারজন। এরা হলেন, আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আজাদ, শাহাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। ৬ নম্বর ওয়ার্ড (বাগমারা) পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আবু জাফর মাস্টার, আব্দুর রশিদ, মাহমুদুর রহমান, বাবুল হোসেন ও শিরিনা পারভীন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন (পুঠিয়া) শরিফুল ইসলাম টিপু, ফজলে রাব্বি মুরাদ, মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ ও আসাদুজ্জামান মাসুদ।

৮ নম্বর ওয়ার্ড (চারঘাট) তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন, শফিউল আলম, জনাব আলী ও সাকের আলী। ৯নং ওয়ার্ডে (বাঘা) ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আফতাব হোসেন, আব্দুস ছালাম, আব্দুল মতিন, শাহীন আলম, হাফিজুর রহমান ও মহিদুল ইসলাম।

সহকারি রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১৮৫ জন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। তাদের ভোটে রাজশাহীতে একজন চেয়ারম্যান ও ১২ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্য।

তিনি বলেন, তফসিল অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৬ তারিখ প্রতিক বরাদ্ধ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সকল প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন।