পাচার ৭০ বস্তা সার লালপুর থেকে উদ্ধার
বাঘা প্রতিনিধি: বাঘা থেকে ভুটভুটিতে ঈশ্বরদীর উদ্দেশে পাচার হওয়া ৭০ বস্তা সার জব্দ করেছে লালপুর থানা পুলিশ। বুধবার সকালে গরিপুর এলাকা থেকে ওই সারগুলো উদ্ধার করা হয়।
পরে থানা পুলিশ ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমান্বয়ে জব্দকৃত সারগুলো বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট হস্তান্তর করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার চক ছাতারি গ্রামের সেকেন্দার আলী বুধবার সকাল ১০টার সময় উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি সার-ডিলার মেসার্স লুৎফর ট্রের্ডাস থেকে ৩৫ বস্তা ইউরিয়া এবং ৩৫ বস্তা ডিএপি, মোট ৩.৫ মে: ট: সার নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার অপর এক সার ব্যাসায়ী মাজদার আলীর দোকানে যাচ্ছিলেন।
এ সময় বিষয়টি লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণাত বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানা পুলিশকে অবগত করেন। অতঃপর পুলিশ প্রশাসন দ্রুততার সাথে সারগুলো আটক করে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে নির্বাহী অফিসার বিকালে ওই সারগুলো বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতানের নিকট হস্তান্তর করেন।
পরে তিনি বিষয়টি রাজশাহী জেলা প্রশাসককে অবগত করলে তিনি এ সংক্রান্তে থানায় অভিযোগ দাখিলের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক ভুটভুটি চালক সেকেন্দার আলী ও সার ডিলার লুৎফর রহমানকে আসামি করে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জারিন তাসলিম নিলয়। যার সত্যতা স্বীকার করেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন।
এ বিষয়ে লুৎফর রহমানের ছোট ভাই গোলাম রহমান দাবি করেছেন, ওই সার তাদের দোকানের নয়। তারা চলতি সপ্তায় সরকারি বরাদ্দ মোতাবেক যে পরিমাণ সার ক্রয়-বিক্রয় করেছেন, তার স্টক মিলালেই সব সত্যতা বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, অন্য কোন ডিলার তার ভাইকে ফাঁসানোর জন্য এই চক্রান্ত করেছে।