ঢাকা | মে ২, ২০২৪ - ৮:০৪ অপরাহ্ন

এক ট্রলারেই ১৬ মণ ইলিশ, ১০ লাখে বিক্রি

  • আপডেট: Thursday, September 8, 2022 - 11:06 am

অনলাইন ডেস্ক: পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। একটি ট্রলারেই ১৬ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন জেলেরা। গত মঙ্গলবার দুপুরে মহিপুর মৎস্য বন্দরে প্রায় ১০ লাখ টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন জেলে মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান। অন্যরাও ইলিশ পাওয়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না তারা।

এফবি নাজমা ট্রলারের মালিক ও কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকার জেলে মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান জানান, ১৬ জন জেলে নিয়ে ১০ দিন আগে গভীর সমুদ্রে যান তারা। প্রতিদিনই ইলিশ ধরা পড়েছে জালে। সোমবার সকালে সাগরে জাল ফেললে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত। সেগুলো আড়তে ৬২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। দাম পেয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

জেলেরা জানান, সাগর থেকে জেলেরা কমবেশি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। বাকি দিনগুলোয় ইলিশ ধরা পড়লে মৌসুমের শুরু থেকে যে আকাল ছিল, তা কাটিয়ে ওঠা যাবে। জেলে মজিবুর রহমান বলেন, সাগরে এভাবে ইলিশ পড়লেও সমস্যা থাকবে না। এতে জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবেন।

মহিপুরের মেসার্স মা-বাবার দোয়া মৎস্য আড়তের মালিক পান্না হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার সিদ্দিকের ট্রলারের যে ১৬ মণ ইলিশ কিনেছিলেন, তার সবই বিক্রি হয়ে গেছে। মৌসুমে এই প্রথম ভালো বিক্রি ও মুনাফা হলো। এভাবে চললে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

মহিপুর মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান গাজী বলেন, গত মাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে যেতে পারেননি জেলেরা। বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলারের অনেকে এখনও নিখোঁজ। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় জেলেরা সমুদ্রে যাচ্ছেন, ইলিশও ধরা পড়ছে। তবে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রলার ছাড়া কেউ আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না।

আলীপুর মৎস্য বন্দরের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সাগরে কিছু ইলিশ ধরা পড়লেও আশানুরূপ নয়। এতে জেলেরা খুশি হলেও ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।

সোনালী/জেআর