অবশ্যই সরকার তেলের দাম কমাবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আগামীতে তেলের দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বাড়লে আমরা দাম বাড়াবো, আর কমলে কমাবো। তেলের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় যে অসুবিধাটা হয়েছে তা সরকার অবহিত আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূণর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান জানান, সরকার শুধু দাম কমায়নি, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছেন দাম আবারও সমন্বয় করবেন, আরও কমাবেন। আমরা তাকে বিশ্বাস করি, সরকারকে বিশ্বাস করি। অবশ্যই সরকার তেলের দাম কমাবে। যদি না আরেক যুদ্ধ লেগে যায়, যদি বিশ্বাবজারে আবার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে এটার লক্ষণ আপাতত আমরা দেখছি না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্ব স্ট্যাবল অবস্থায় আছে। সুতরাং আমি আশা করছি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে।
তেলের দাম পরবর্তীতে কেমন কমতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নই। পূর্ব অভিজ্ঞতা যেহেতু আছে দাম কমাবো। তবে পর্যাক্রমে কমার পক্ষে আমি। লাফ দিয়ে বাড়া ও লাফ দিয়ে কমা ভালো না। পর্যায়ক্রমে কমানো হবে।
এ মাসে তেলের দাম কমতে পারে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে দিনক্ষণ নিয়ে বলার মতো অবস্থা আমি রাখি না। তবে সার্বিকভাবে বলতে পারি দাম কমবে কমবে, কমবে।
জ্বালানি তেলের নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত আগস্টের ৫ তারিখ রাতে হঠাৎ ঘোষণায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়ে বাজারে। মুহূর্তেই হু হু করে বাড়তে থাকে সব পণ্যের দাম। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি তথা বাজারে জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির চাপে সাধারণ মানুষের দিশেহারা অবস্থা। এতে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।