ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:২৪ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে করলার বাম্পার ফলন

  • আপডেট: Monday, September 5, 2022 - 11:33 pm

 

মিজান মাহী, দুর্গাপুর থেকে: দুর্গাপুরে বর্ষায় লাউয়ের মাচায় করলা চাষে তাক লাগিয়েছেন কৃষকেরা। ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি করলা চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। সঠিক পরিচর্যায় করলার ফলনও হয়েছে বাম্পার। খেতের আইলে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত করলা।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বর্ষায় এ উপজেলায় অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ১২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সবজি উৎপাদন কম হয়। ফলে এ সময় অঞ্চলের করলার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় সারাদেশে। চাহিদা থাকায় দামও ভাল পাচ্ছে কৃষকেরা। এ উপজেলায় গত বারের চেয়ে এবার ২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ বেড়েছে।

উপজেলার উজানখলসী গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩০শতাংশ জায়গায় চৈত্র মাসে লাউ চাষ করি। সেখানে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে লাইলন সুতা ও জিআই তার এবং বাঁশের খুটির ওপর চাষ করতাম। লাউ চাষ শেষ হলে সেই মরা গাছের মাঝে মাঝে করলা গাছের বীজ বপন করে ছিলাম। সেখান থেকে এখন করলা বিক্রি করছি। বর্ষা মৌসুমে করলা দাম ভাল হয়। প্রতিমণ করলা খেতের আইল থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৭ শ থেকে ১৭৫০ টাকা দরে। হাটকানপাড়া এলাকার মহির উদ্দিন বলেন, করলা নিয়ে বাজার এ যেতে হয় না। চড়া দামে খেতের আইলে বিক্রি হয়ে যায় করলা। অন্যান্য সবজির তুলনায় করলাচাষে খরচ কম হয়।

পাইকারী ব্যবসায়ী দুলাল সরকার বলেন, বর্ষাকালে সারাদেশে সবজির সঙ্কট হয়। এ সময় রাজশাহী অঞ্চলে জমি উচু হওয়ায় করলা চাষ হয়। এসব করলা তিনি ঢাকা সিলেটে সরবরাহ করেন। পাইকাররা খেতের আইলে করলা নিয়ে নিচ্ছেন। চাহিদা থাকায় দামও ভাল পাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, করলা প্রায় সারা বছরই আবাদ করা যায়। বর্ষা মৌসুমে অনেকেই এখন বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবছর দাম ভাল পাওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে করলার চাষ হবে।