ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১:৪৭ অপরাহ্ন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট শুধু নামেই

  • আপডেট: Saturday, September 3, 2022 - 11:25 pm

পুঠিয়া প্রতিনিধি: তদারকির অভাবে পুঠিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দুই একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া, বাকি সকল প্রতিষ্ঠানের সাইডগুলোতে কোনো আপডেট নেই।

তবে শিক্ষকরা বলছেন, অতিরিক্ত ব্যয় ও সাইড পরিচালনার জন্য যথাযথ দক্ষতা না থাকার কারণে নিয়মিত সাইট আপডেট করা হয় না। অপরদিকে অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ করবে। অথচ নানা অযুহাতে ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রযুক্তিগত কোনো অগ্রগতি নেই।

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৬৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে কলেজ ১৮টি, মাধ্যমিক স্কুল ৪৮ টি, মাদ্রসা ১৪ টি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৯ টি।

এদিকে শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলেন, গত ২০১৮ সালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করতে অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সকল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে একটি করে ওয়েবসাইট খোলা হয়। এতে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইড খোলার জন্য প্রতিটি স্কুল-কলেজ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা নেয়। আর এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

জয়নাল আবেদীন নামে একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সরকার আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছেন। সে লক্ষে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক টাকা খরচা করে ওয়েবসাইট খোলা হয়। যেনো সকল শিক্ষার্থী অভিভাবকরা সহজেই প্রতিষ্ঠান ও সকল শিক্ষা বিষয়ক তথ্য অনুসন্ধান করে সেখানে পায়। তিনি বলেন, দুই একটি ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইডে কোনো আপডেট নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন উইলিয়াম বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গত প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে সকল স্কুল কলেজগুলোতে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সে সময় প্রতিটা প্রতিষ্ঠান প্রায় ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে করে স্কুলের নামে একটি ওয়েবসাইড খোলা হয়। তবে কিছু জটিলতার কারণে সাইডটি আপডেট নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম সানোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ওয়েবসাইড খোলা হয়। নানা কারণে এখন ওই সাইটগুলো তেমন চলে না। তবে শিক্ষা বিভাগের আইপিইএমআইএস নামে একটা ওয়েবসাইড রয়েছে। সেখানে শিক্ষকরা নিয়মিত আপডেট করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান বলেন, স্কুল কলেজগুলোতে শিক্ষা বিষয়ক বা অফিস পত্র সকল তথ্য এখন ইমেল, ম্যাসেঞ্জারে পাঠানো হয়। তাছাড়া অফিসের ওয়েবসাইট সেই তথ্য গুলোতেও পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, আমার জানামতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সচল ও আপডেট থাকার কথা। আর কোনো প্রতিষ্ঠানের সাইট অকেজো আছে কিনা সেটা ওই প্রতিষ্ঠান আমাকে জানায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।