ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১:২০ অপরাহ্ন

বৃদ্ধা মাকে রাস্তায় ফেলে গেলো সন্তান

  • আপডেট: Saturday, September 3, 2022 - 11:29 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসুস্থ বৃদ্ধা মা-কে রাস্তায় ফেলে গেছেন ছেলে। পরে স্থানীয় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিমের সহায়তায় ওই বৃদ্ধার আশ্রয় হয় তার ছোট মেয়ের বাড়িতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর নাককাটিতলা গ্রামে। সে একই গ্রামের মৃত সইবুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেওয়া (৮২)। জানা গেছে বৃদ্ধার তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা এলাকার বালিগ্রামে কে বা কারা বৃদ্ধা মহিলাটিকে

ফেলে পালিয়ে যায়। এ খবর শুনে স্থানীয়রা এবং কৃষক লীগ নেতা আব্দুল হাকিম বৃদ্ধা মহিলার কাছে গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং তার ছেলে কীভাবে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে তা শুনেন।

আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার চারকাঠা মাটি ছিলো। তার মধ্যে দুইকাঠা জিমি বিক্রি করে তিন মেয়ের পেছনে ব্যয় করেন। আর দুই ছেলেকে এক কাঠা করে জমি দেন। আর এ নিয়েই ছেলে ও ছেলের বউরা বৃদ্ধা শাশুড়িকে দেখভাল করতেন না এবং একমাস বড় ছেলের কাছে আর একমাস ছোট ছেলের কাছে থাকতো। এ ঘটনার আগ পর্যন্ত ছোট ছেলে মনিরুল ইসলামের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গায় থাকতেন বৃদ্ধা মর্জিনা। শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার বালিগ্রামে ছোট বোনের বাড়ির সামনে মনিরুল তার মাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কৃষক লীগ নেতা আব্দুল হাকিমের হস্তক্ষেপে একই মহল্লায় বসবাসরত ছোট মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় হয় বৃদ্ধা মায়ের এবং সেই সাথে ওই বৃদ্ধার সকল চিকিৎসা ও ভরন পোষণের দায়িত্ব নেন আব্দুল হাকিম। একইসঙ্গে বৃদ্ধ মায়ের সাথে যারা অমানবিক আচরণ করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।

মর্জিনা বেওয়ার ছোট মেয়ে নাসিমা বেগম জানান, জায়গা জমি নিয়ে তার ভাই মনিরুলের স্ত্রী তার অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের সেবা-যত্ন না করতে চাওয়ায় এবং এ নিয়ে প্রায়শই ঝগড়া এবং অশান্তি হতো পরিবারে। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর জ্বালা-যন্ত্রণা সইতে না পেরে তার মাকে রাস্তায় ফেলে যান।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক উলমে কুলসুম জানান,এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক; যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অসুস্থ মায়ের খোজ খবর নেন। এবং জেলা প্রশাসন তার থাকা, খাওয়া, চিকিৎসাসহ সার্বিক দায়িত্ব নেবে বলে জানান।