ঢাকা | মার্চ ১৮, ২০২৫ - ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারের উপকূলে ৫৮ রোহিঙ্গা আটক, সাত মরদেহ উদ্ধার

  • আপডেট: Friday, September 2, 2022 - 9:59 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলে আইয়ারওয়াদি ডেল্টা অঞ্চলের একটি দ্বীপের কাছে গত সোমবার (২৯ আগস্ট) ভাসমান একটি নৌকা থেকে চারজন পাচারকারী ও ৫৮ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সাতটি মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ করে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও ইউসিএ নিউজ।

স্থানীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার জানিয়েছে, বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে পিয়াপন টাউনশিপের কাছে বেশ কয়েকদিন ধরে একটি জাহাজটি ভেসে আসছে বলে খবর পাওয়ার পর উপকূলরক্ষীরা নৌকাটিকে থামিয়ে এতে তল্লাশি চালায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং তিনজন নারী অনাহারে মারা গিয়েছিলেন এবং একটি শিশু নৌকা থেকে পরে মারা যায়। মারাত্বক আহত ৬ জনকে হাসপাতালে এবং বাকিদের ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বোগালে শহরের একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৭ সালে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠদের কতৃক হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগেরমত সামরিক দমনপীড়ন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে সরকারি নিপীড়ন ও সহিংসতার মধ্যে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রাখাইনে রয়ে গেছে।

এদিকে নিপীড়ন থেকে বাচতে হাজারো রোহিঙ্গা রাখাইন ছেড়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে অনিরাপদ নৌকা যাত্রাকে বেছে নিচ্ছে। তবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার জন্য নিয়মিত গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে তাদের।

মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া, রোহিঙ্গাদের একটি পছন্দের গন্তব্য কারণ এটি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা দেয়।

অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলেছে যে যারা মিয়ানমারে রয়ে গেছে তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছে, ক্যাম্প এবং গ্রামে সীমাবদ্ধ এবং পর্যাপ্ত খাবার, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা এবং জীবিকা অর্জন থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই তারা রাখাইন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে গণ্য করে এবং বলে যে তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আন্তঃপ্রবেশকারী, যদিও তাদের অধিকাংশ পূর্বপুরুষরা কয়েক দশক ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমার ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলোমান রয়েছে। তবুও রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার।

Proudly Designed by: Softs Cloud