ঢাকা | মে ৩, ২০২৫ - ১:৪৯ পূর্বাহ্ন

গৌড়মতি আম চাষে সফল শহিদুল-মামুন

  • আপডেট: Thursday, September 1, 2022 - 11:22 pm

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: সবচেয়ে বিলম্বিত জাতের গৌড়মতি আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার শহিদুল ইসলাম ও আল-মামুন নামে দুইচাষি।

উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এই বাগান। এবারে বাগানের ৭৫ টি গাছে আম উৎপাদিত হয়েছে। লেট ভ্যারাইটির এই বাগানের গৌড়মতি আম দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন আগ্রহী চাষিরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বাগান পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবু হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা সিদ্দিকা রুমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলায় পর্যায়ক্রমে খিরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, নাগফজলি, আম্রপালী, আশ্বিনা ও বারিফোর জাতের আম শেষ হয়েছে। এখন বাজারে কিংবা বাগানে আর কোনো আম নেই। অসময়ের গৌড়মতি জাতের আম বাগান থেকে নামানো শুরু হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আমের মৌসুম।

বাগান মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, এবছর তার বাগানে ৮০ মণ গৌড়মতি আম উৎপাদিত হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি মণ আম ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝখানে বিক্রি হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা মণ দরে। বর্তমানে প্রতি মণ আম ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাষি শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, পাইকারী বাজারে প্রতি মণ আম ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসাবে ৮ লাখ টাকার আম বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

এই আম সুস্বাদু, সুমিষ্ট ও মৌসুমের সর্বশেষ জাতের কারণে লাভজনক হওয়ায় এলাকার শহিদুল ইসলাম ও আল-মামুন পাশাপাশি অনেক আম চাষি এ আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে কেউ কেউ এই জাতের আমবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে এ দুই চাষিকে গৌড়মতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন চাষি গৌড়মতি আমের বাগান তৈরি করতে আগ্রহী হলে তাকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS