ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১২:৫২ অপরাহ্ন

বন্ধ হওয়ার পর খোলা পাওয়া গেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার

  • আপডেট: Wednesday, August 31, 2022 - 11:26 pm

স্টাফ রিপোর্টার: অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বন্ধ করে দেয়া কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায় বেশকিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার পুরোদমে কাজ চালাচ্ছে।

এদিকে দ্বিতীয় দিনে অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার সকাল থেকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর মিলে ১২টি টিম অভিযানে নেমেছে। রাজশাহী মহানগরীতে রয়েছে তিনটি টিম।

মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণার পরও রাজশাহীর বেশ কিছু অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা পাওয়া গেছে। নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার রেইনবো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল আমিন ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেন্ট সেন্টার ও মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণার পরও খোলা পাওয়া গেছে। এদিন বেলা ১১টার দিকে রেইনবো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, ভেতর থেকে তালা দিয়ে সেটির কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। তবে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তারা গেট বন্ধ করে দেয় আর খুলেননি।

আল আমিন ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেন্ট সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে রোগীরা বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে গেছেন। টেস্টও করা হচ্ছে। রিসিপশন থেকে জানানো হয়, তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক অসুবিধার কারণে বন্ধ ছিল। তাই তারা আজ আবার চালু করেছে। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর আল আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার পরীক্ষা করা কিছু ব্যবস্থাপনাপত্র দিতে তারা খুলেছে। ব্যবস্থাপনাপত্র দেয়া শেষ হলে চলে যাবে। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, তারা সব রোগীকে বের করে দেয়। এরপর আবার বন্ধ করে চলে যায়।

মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের তিনজন কর্মচারি। মূল ফটকে গেটে তালা দেয়া আছে। কর্মচারিরা বলছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারটা বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে খোলা ছিল। সিভিল সার্জন টিম আসবে বলে এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেখে সেখানে ঢোকানো হচ্ছে।

বুধবারও রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ ফারুকের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে যায় নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায়। তারা বিভিন্ন অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘুরে তাদের কাগজপত্র ও নিবন্ধন পরীক্ষা করে দেখেন।

সিভিল সার্জন বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছি। বৃহস্পতিবারও এ অভিযান চলবে। যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করেই ব্যবসা শুরু করেছে বা বহু আগে অবেদন করে আর কোনো খবর নেই এবং লাইসেন্স নবায়ন করেনি তাদের চিহ্নিত করে কাগজপত্র দেখে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

অভিযানের পরও ক্লিনিক খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলবার অভিযানের সময় ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেন্ট সেন্টারের লোকজন তালা মেরে পালিয়ে যায়। তাই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে গতকাল বুধবার সকালে কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে তাদের সব কিছুই ঠিক আছে। তাই তাদের আমরা অনুমতি দেবো। এছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে তাদের আমরা চিঠি দেবো এবং সেগুলো বন্ধ করে দেবো।