ঢাকা | মে ১৩, ২০২৫ - ৪:১৫ পূর্বাহ্ন

স্বজনদের নিয়োগ দিতে প্রধান শিক্ষকের কাণ্ড

  • আপডেট: Tuesday, August 30, 2022 - 11:32 pm

 

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারায় সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া ঝিকরা আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও ২০ বছর আগে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের নাম বাদ দিয়ে স্ত্রী ও মামা শ্বশুরকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ও শাহনাজ পারভীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিকরা আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক ২০০২ সালের ৬ জুন জহুরুল ইসলামকে সহকারী শিক্ষক (বি.এ) এবং শাহনাজ পারভীনকে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু স্কুলটি এমপিওভূক্ত না হওয়ায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছেন।

গত মাসে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন। তিনি প্রতারনা ও জালিয়াতি করে ২০ বছর আগে নিয়োগ পাওয়া জহুরুল ইসলাম ও শাহনাজ পারভীনের নাম বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক তাঁর স্ত্রী সাহারা খাতুন ও মামা শ্বশুর বেলাল উদ্দিননের নামে জালিয়াতি করে গোপনে ভূয়া নিয়োগপত্র তৈরি করেছেন।

জহুরুল ইসলাম ও শাহনাজ পারভীনের নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র বহাল থাকা সত্বেও নতুন এমপিও তালিকায় তাদের নাম বাদ দিয়ে শাহনাজ পারভীনের পদে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সাহারা খাতুনের নাম এবং জহুরুল ইসলামের পদে প্রধান শিক্ষকের মামা শ্বশুর বেলাল উদ্দিননের নাম পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতারিত ওই দুই শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করা জন্য হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় লোকজনের মাঝে এখন চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি আবেদ আলী জানান, ২০০২ সালে আমি নিজ হাতে জহুরুল ও শাহনাজকে নিয়োগ দিয়েছি। ওই সময় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ও মামা শ্বশুরের নিয়োগের কোনো কথায় উঠেনি। অথচ এখন শুনছি ওই সময় নাকি প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ও মামা শ্বশুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক জালিয়াতি করে নিজের স্ত্রী ও মামা শ্বশুরের নামে বেতন আনার চেষ্টা করছেন।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ওই দুই শিক্ষক স্কুলে আসেন না। বর্তমানে তারা অন্যত্র চাকরী করছেন। তবে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ায় পর তারা আবার স্কুলে আসতে শুরু করেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে নোটি দিয়ে ডাকা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সময়ের জন্য আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS