ঢাকা | মে ১২, ২০২৫ - ৩:০২ পূর্বাহ্ন

পাখি হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করুন

  • আপডেট: Sunday, August 28, 2022 - 11:17 pm

 

পাখি হত্যার তদন্তেও যে এতো দীর্ঘ সময় লাগছে সেটা বিষ্ময়কর! রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল চত্বরে পাখির শতাধিক বাচ্চা ও আবাসস্থল ধ্বংসের অভিযোগের তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি। গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

রাজশাহীর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক পাখি হত্যা ও আবাসস্থল ধ্বংস করায় এক কোটি টাকা ও পরিবেশের আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে মামলায় দাবি করেছেন। মামলা হওয়ার পর এক বছর হতে চললেও তদন্তই শেষ হচ্ছে না। ফলে মামলার বিচারকাজ আটকে আছে।

রামেক হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতের পাখি, বিশেষ করে শামুকখোল পাখিরা প্রজনন মৌসুমে এসে বাসা বাঁধে। ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়ে তারা আবার চলে যায়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় পরিবেশ নষ্টের কথা বলে ২০২০ সালে পাখির আশ্রয়স্থল গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়। এতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর প্রতিবাদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও পাখি নিয়ে মানুষের আবেগ সমন্বয় করে চলার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

কিন্তু গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ড্রেন নির্মাণের সময় একটি বড় অর্জুনগাছ কাটা হলে শতাধিক পাখির বাচ্চা পড়ে গিয়ে কিছু মারা যায়। অন্যগুলোকে জবাই করে নিয়ে যায় মানুষ। এভাবে পাখি হত্যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০২১ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় মামলা হয়। সে মামলার তদন্তই আটকে আছে প্রায় বছর হতে চললো।

এভাবে তদন্তে দীর্ঘ সময় লাগলে মামলার গুরুত্বই যে হারিয়ে যায় সেটা জানা কথা। গাছ কাটা ও পাখি হত্যা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ ধরনের মামলার বিচার দ্রুত শেষ হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিলম্বিত বিচার যে বিচারহীনতা বাড়িয়ে দেয় সেটা নিশ্চয়ই ভুলে যাওয়ার নয়। তাই পাখি হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করে দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় তোলা জরুরি।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS