ঢাকা | ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ - ১১:০৯ অপরাহ্ন

স্ত্রীর পর স্বামীরও মৃত্যু, আরেক গৃহবধুর আত্মহত্যা

  • আপডেট: Saturday, August 27, 2022 - 11:16 pm

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর এক সঙ্গে বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবনে স্ত্রী মারা যাওয়ার ১২ ঘন্টার মাথায় স্বামী ওমর ফারুকও (৩২) মারা গেলেন।

শুক্রবার রাত পৌনে ১১ টায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। শনিবার নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ওমর ফারুক উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর মহল্লার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। অপরদিকে, উপজেলার সংগ্রামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শাবনুর খাতুন নামে আরেক গৃহবধু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণের চাপে ফল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ও তার ছোট স্ত্রী বিথী শুক্রবার সকালে হালদার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে তারা দুজন এক সাথে পাশেই কালিকাপুরে ফারুকের পৈত্রিক বাড়িতে যান।

সেখানে স্বজনরা বুঝতে পেরে তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে রাজশাহী নেয়ার পথে বিথী আক্তার মারা যান। ওমর ফারুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী বেসরকারী নিউ লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু আইসিইউয়ের মোটা অঙ্কের খরচ যোগাতে না পারায় স্বজনরা রাতে বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।

অপরদিকে, পারিবারিক কলহের জের ধরে শাবনুর খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত শাবনুর ওই গ্রামের চাঁদ মিয়ার স্ত্রী। তার চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। তবে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।

শাবনুরের পিতা আলম হোসেন বলেন, আমার মেয়ের দুই পা মাটিতে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল, এভাবে কেউ মরতে পারে না। আমার মেয়েকে তারা হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, দুজনের লাশেরই ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।