ঢাকা | মে ১৭, ২০২৪ - ৮:০৯ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ বন্ধে অ্যাসাঞ্জের আপিল

  • আপডেট: Saturday, August 27, 2022 - 10:20 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ বন্ধে শুক্রবার একটি আপিল দায়ের করেছেন তার আইনজীবীরা। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

উইকিলিকস বলেছে, অ্যাসাঞ্জের আইনি দল যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে ‘আপিলের উপযুক্ত ভিত্তি’ দাখিল করেছে, যিনি জুনে তার প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছিলেন।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, রাজনৈতিক মতামতের জন্য অ্যাসাঞ্জের বিচার করা হচ্ছে এবং শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

হাইকোর্টের বিচারকরা এখন সিদ্ধান্ত নেবেন যে অ্যাসাঞ্জেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলাটি আদালতে খোলা এবং সম্পূর্ণরূপে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা।

২০০৬ সালে উইকিলিকস চালু করেন অ্যাসাঞ্জ। এতে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। ২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এ কারণে বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এর পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে সাত বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন পুলিশ।

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের একটি নিম্ন আদালত এক দশক আগে গোপন মার্কিন সামরিক নথি প্রকাশের জন্য অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। তখন আদালত বলেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবে না। তার মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে।

এরপর যুক্তরাজ্যের নিম্ন আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে যুক্তরাষ্ট্র । যুক্তরাজ্যকে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি তারা অ্যাসাঞ্জকে হস্তান্তরে সম্মত হয়, তবে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা তার জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় যে কোনো মার্কিন কারাগারে সাজা ভোগ করতে পারবেন।

গত এপ্রিলে মাকিৃন আপিলের প্রেক্ষিতে অ্যাসাঞ্জকে ওয়াশিংটনের কাছে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। জুনে প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল।

আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই গত মে মাসে কারাগারেই নিজের বাগ্‌দত্তা স্টেলা মরিসকে বিয়ে করেছেন অ্যাসাঞ্জ। বিয়ের পর মরিস প্রীতি প্যাটেলের কাছে স্বামী অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ না করার অনুরোধ জানান। কিন্তু মরিসের অনুরোধ পাশ কাটিয়ে অ্যাসাঞ্জকে ওয়াশিংটনের হাতেই তুলে দিতে যাচ্ছেন প্রীতি।

অ্যাসাঞ্জ বর্তমানে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন, যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করেন তাহলে সেখানে বিভিন্ন অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এরআগে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।