ঢাকা | মে ২, ২০২৫ - ৯:৫০ অপরাহ্ন

পদ্মাপাড়ের মাঝির তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি

  • আপডেট: Saturday, August 27, 2022 - 11:18 pm

বাঘা প্রতিনিধি: বাঘায় পদ্মার পাড় ভেঙ্গে নিখোঁজ মজা মাঝির তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের একটি দল পদ্মায় তল্লাসি চালিয়ে তার সন্ধান পায়নি। তারপর থেকে পরিবারটি অসহায় ও নির্বাক হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

জানা গেছে, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের মৃত আলী মাঝির ছেলে মুজা মাঝির (৬২) বাড়ি ১৫ দিন আগে পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। মনের দু:খে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে পাড়ে বসে কান্নাকাটি করছিলেন। এ সময় পদ্মার পাড় ভেঙ্গে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। তারপর এলাকার লোকজন জানতে পেরে নৌকা ও জাল নিয়ে খোঁজ করতে থাকেন। শুক্রবার ও শনিবার নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পদ্মায় তল্লাসি চালিয়েও তার সন্ধ্যান করতে পারেনি।

এ বিষয়ে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরন্নবী বলেন, শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ ব্যক্তি নদীতে পড়ার সাথে সাথে স্রোতে ভেসে গেছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরের ওয়ার্ড মেম্বর আবদুর রহমান বলেন, এক মাসের ব্যবধানে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, দিয়ারকাদিরপুর চরের এরশাদ মাঝি, শাহপরায়ন, দিলু ব্যাপারি, করিম তাতীসহ ৫০টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া আম বাগান, বড়ই বাগান, পেয়ারা বাগান, শাকসবজি, আখ ক্ষেত, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ শত শত বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, পদ্মায় বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তার সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। চকরাজাপুর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছোট হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, লাশের স›ন্ধানের জন্য ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করা হলে তারা তল্লাসি করেও পায়নি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS