ঢাকা | নভেম্বর ১৯, ২০২৪ - ১১:৪৯ অপরাহ্ন

শুক্রবার থেকে ২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

  • আপডেট: Thursday, August 25, 2022 - 11:02 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: জ্বালানি সাশ্রয়ে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে আগামী শুক্র ও শনিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই বিষয়ে শিক্ষা ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক আদেশ জারি করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল দুই দিন বন্ধ থাকবে। সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার এ ছুটি কার্যকর করা হবে। অন্যান্য দিন স্কুলে নিয়মিত পাঠদান পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সোমবার আমাদের মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি আগামী সপ্তাহ (শুক্রবার) থেকে কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কুল-কলেজ সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিন বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করে।

আদেশে বলা হয়, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে।

সর্বশেষ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে। এরপরই শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, সপ্তাহে দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং তারা এনার্জি নিয়ে পড়ালেখা করতে পারবে। আমাদের আগামী বছর থেকে সপ্তাহে দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা ছিলো। যেহেতু বৈশ্বিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে, আমরা যেন সাশ্রয়ী করতে পারি, এ কারণেই এখন থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, সপ্তাহে পাঁচদিন যে ক্লাস হবে, সে পাঁচদিনই আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে সে পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ক্লাস করাবো। অন্যান্য কর্মজীবী সপ্তাহে দুইদিন ছুটি পান, তাদের মতো আমাদের শিক্ষকেরাও ছুটি পাবেন। কারণ শিক্ষকেরা অন্যান্যদের তুলনায় বছরে ৫১ দিন বেশি কাজ করেন। সেই শিক্ষকেরা যদি সপ্তাহে দুইদিন ছুটি পান, সেক্ষেত্রে আরও উদ্যোমী হয়ে আরও অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে কাজ করবে বলে মনে করি।