ইভিএম কেনার বড় প্রকল্প নিচ্ছে ইসি
অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে ইভিএম কিনতে বড় প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে ইসি।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের কেনাকাটা আছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কেনাকাটার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলবো। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়ে দেবো আমরা। প্রকল্প অনুমোদন হলে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএমটিএফ এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। মেশিনগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে পাবো। তারপর আস্তে আস্তে মাঠ পর্যায়ে পাঠাবো। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য ৩০টি জেলায় বাসা-বাড়ি ভাড়া নিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় মাঠ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। নতুন প্রজেক্টে ওয়্যারহাউজ তৈরির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তা নাহলে বিকল্প পন্থায় যাবো।
নতুন প্রজেক্ট নিলে ব্যয় বাড়তে পারে দ্বিগুণ, এমনটাই বলছেন অনেকে। তবে প্রকল্প্ পরিচালক এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, আগের প্রজেক্ট ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ছিলো। এটা তো পাঁচ বছর আগের ছিলো। ইভিএমে কেনাসহ অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছিলো এ প্রকল্পে। এবার কিছু তারতম্য হবে। মোট খরচ নির্ধারণ করতে পারিনি। সেপ্টেম্বরে হয়তো বলতে পারবো। এখনো কাজ করছি। কত ইভিএম লাগবে এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় আছে, সেগুলো নিয়ে সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব না। নতুন প্রকল্পে যে ইভিএমগুলো আসবে এতে নতুন করে কোনো সংযোগ হচ্ছে না। এটা পারফেক্ট মেশিন। এটার মধ্যে সংযোগ-বিয়োজনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক।
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ১৫০ আসনে মোট কত ভোটারের জন্য ইভিএম ব্যবহার করা হবে তার ওপর নির্ভর করবে মেশিন কতটি লাগবে। সব আসনে ভোটার সংখ্যা সমান নয়। তাই এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে সচিবালয়। শিগগিরই হয়তো বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম আছে। সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০টা আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার। ১৫০টি আসনের জন্য আনুমানিক আরও প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে। বিদেশি কোম্পানি কত দাম চায়, প্রশিক্ষণের বিষয় আছে, ওই সময় ডলারের দাম কত থাকবে এসব বিষয় নিয়ে প্রকল্প নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন দেশে ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ইভিএমের সূচনা করে। সে সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে এই ভোটযন্ত্র তৈরি করে নেয়া হয়েছিলো।