ঢাকা | নভেম্বর ১৯, ২০২৪ - ৪:৪৩ অপরাহ্ন

জলাবদ্ধতার অবসান চাই

  • আপডেট: Wednesday, August 24, 2022 - 11:10 pm

এবার বর্ষাকালে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়নি। তাই অতিবৃষ্টির দুর্ভোগ ছিল না। তবে ভাদ্রের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। রাস্তায় হাঁটু পানি জমেছে। বাসাবাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে পরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। ড্রেনের ময়লা পানি সেচে কূল পায়নি।

মঙ্গলবার ভোরের একটানা বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ এলাকার রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। অফিসগামীদের যাতায়াতে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুণতে হয়েছে। হেতমখাঁ এলাকার সব সড়কই দীর্ঘক্ষণ পানিতে তলিয়ে ছিল। এছাড়া উপশহর গোরস্থান মোড়, কাদিরগঞ্জ, ডিঙ্গাডোবা, এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেরখাদিয়া, মালদা কলোনি, কয়েরদাঁড়া, শিল্পীপাড়া, নওদাপাড়া, নামোভদ্রা, বিমানবন্দর সড়কের পলিটেকনিকের রাস্তা, মেডিকেল কলেজের মোড়েরও জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়েছে মানুষ। কাজলা, বিনোদপুর, মেহেরচন্ডির নিম্নাঞ্চলও তলিয়ে গিয়েছিল বৃষ্টির পানিতে।

বৃষ্টির পানি অপসারণের সুব্যবস্থার অভাবেই এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, অভিযোগ এলাকাবাসীর। অনেক স্থানে সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আবার কোথাও ড্রেনের অভাবেই দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তার উন্নয়নের পাশাপাশি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষাশেষের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। তাছাড়া অনেক জায়গাতেই ড্রেনগুলো যথাযথ দেখাভালের অভাবে ময়লা জমে ধারণক্ষমতা কমে যাওয়াতেই যে বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণ বাধা প্রাপ্ত হয় সেটা পুরানো সমস্যা।

এলাকাভিত্তিক ও নগরজুড়ে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান আশা করা যায় না। নগরজুড়ে সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি এদিকেও আশু দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। নগরবাসী জলাবদ্ধতার অবসান দেখতে চায়।