জুতার মালা পরিয়ে ঘুরানোর দায়ে ইউপি সদস্যের কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার: সালিশে জুতার মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানোর ভিডিও ছড়ানোর দায়ে পাবনার ছাইকোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলামের (৫৫) ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় দেন।
এই মামলায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণাকালে পলাতক ছিলেন তিনি। দণ্ডিত সাইফুল ইসলাম পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা নদীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
এই মামলায় আরও আটজন আসামি ছিলেন। তারা হলেন, সাবেক ইউপি সদস্য ও ছাইকোলা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আলীম, ছাইকোলা উত্তারপাড়ার বাসিন্দা ও গ্রাম পুলিশ সদস্য তৈয়ব আলী, ছাইকোলা সবুজপাড়ার এরশাদ আলী, তার ছেলে রিন্টু, ছাইকোলা কারিগরপাড়ার নাজিম উদ্দিন, এই এলাকার শাহাবুল, মিঠু ও ময়াজ ফকির। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আসামি সাইফুল ইসলাম। তাকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সালিশের নামে ছাইকোলা কারিকরপাড়ার বাসিন্দা রবিউল করিমকে জোর করে জুতা ও ঝাড়ুর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরান তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম।
ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দেন। সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়ায় এ ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগী। তদন্তে পুলিশ সত্যতা পেয়ে অভিযোগ দাখিল করে।