আবারও বন্ধ হলো আজিমনগর রেলস্টেশন
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: আবারও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত নাটোরের লালপুরের আজিমনগর রেলস্টেশন জনবল সংকটের অজুহাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। হঠাৎ করে স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয় সচেতন মহল চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত স্টেশন চালুর দাবি জানান।
সোমবার দুপুর থেকে স্টেশনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজিমনগর স্টেশন মাস্টার মাসুম আলী খান জানান, স্টেশনের অপারেশনাল কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। একে দুই পাশের আব্দুলপুর ও ঈশ্বরদী স্টেশনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি আগের মতই বহাল থাকবে। তাছাড়া টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চালু থাকবে। রেলওয়ের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা। দ্রুতই স্টেশনের কার্যক্রম পূনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, জনবল সংকটের কারণে আজিমনগর স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। স্টেশনটির লাইনগুলো সরাসরি আব্দুলপুর জংশন এবং ঈশ্বরদী জংশন ও ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত যাত্রাবিরতি করা ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করাতে পারবেন। যাত্রিরা সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
এর আগে গত বছর (২০২১) সালের ১৪ অক্টোবর ) স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যান না থাকায় আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে চলাচলকারী ট্রেনগুলো সিগন্যাল সমস্যায় পড়ে।
আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, এই স্টেশন দিয়ে আন্তনগর, মেইল, লোকাল ও মালবাহি ৬০টি ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করে। যাত্রা বিরতি করা ২০টি ট্রেনে প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টাকার টিকেট বিক্রি হয়।
এখানে স্টেশন মাস্টার দুইটি, পয়েন্টম্যান তিনটি, পোটার দুইটি, বুকিং সহকারী ও গেটম্যান তিনটি পদ রয়েছে।
১৮৭৯ সালে গোপালপুর রেলস্টেশন চালু হয়। ১৯৭৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিলের প্রশাসক শহীদ লে. আনোয়ারুল আজিমের নামানুসারে গোপালপুর রেলস্টেশনের নামকরণ হয় ‘আজিমনগর স্টেশন’।