ঢাকা | নভেম্বর ২০, ২০২৪ - ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

রাবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে তদন্ত কমিটি

  • আপডেট: Sunday, August 21, 2022 - 11:14 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুল ইসলামের শরীরে আঘাতে চিহ্ন পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল রোববার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ডাকে তদন্ত কমিটি। এসময় সামছুল ইসলামের শরীরে আঘাতে চিহ্ন পায় কমিটি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান।

গত শুক্রবার বিকেলে মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে সামসুল ইসলামকে তিনঘন্টা রুমের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রশাসন বরাবর লিখিতও দেন সামসুল। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই দিন রাতেই সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন সহকারী প্রক্টর ও ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল মামুন এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জহুরুল আনিস।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান বলেন, কমিটি গঠিত হয়েছে শুক্রবার রাতে। ওই দিন রাতে আমরা ভুক্তভোগীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। রোববার সকালে আমরা অফিশিয়ালি চিঠি দিয়েছি। রাতে উভয় পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হবে। এ ছাড়া মতিহার হলের ওই কক্ষের আশপাশের কোনো কক্ষের শিক্ষার্থীদের ও বাদী পক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশ করা শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন আমাদের স্বাক্ষী দিয়েছেন। তিনি মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রশাসন চায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দিতে। এসব ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে চাই।

শুক্রবার লিখিত অভিযোগে সামছুল বলেন, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা তাকে ফোন করে হলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে ভাস্করের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। ভাস্করের কক্ষে যাওয়ার পর তিনি তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে গলায় ছুরি ধরে ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন।

সে সময় আরও ছয় হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি সামছুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলে তাদের জানান। এ কথা শুনে ভাস্করসহ বাকি দুজন রড ও স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন সামছুলকে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ভাস্কর তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আবরারকে দেখেছিস? আবরারের অবস্থা কিন্তু তোরও হবে।’