ঢাকা | মে ২, ২০২৫ - ৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে পুরোদমে উৎপাদন শুরু

  • আপডেট: Sunday, August 21, 2022 - 10:58 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: তিন শিফটে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে। ফলে স্বস্তি ফিরেছে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মাঝে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তবে তিনটি ইউনিট একইসঙ্গে চালানো হয় না।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াজেদ আলী সরকার জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রে অন্তত এক মাসের কয়লা মজুত রাখতে হয়। কিন্তু সেই পরিমাণ কয়লা নেই। কয়লার মজুত কমে যাওয়ায় বর্তমানে দুটি ইউনিট চালু রেখে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন হয় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎহীন কিংবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়বে। বড়পুকুরিয়া খনিতে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়ায় তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খনি ভূ-গর্ভে ১ হাজার ৩০৬ নম্বর কোল ফেইস থেকে গত ২৭ জুলাই কয়লা উৎপাদন শুরু হয়।

কিন্তু স্থানীয় ও চাইনিজ খনি শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৯ জুলাই সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রায় সাড়ে ৩০০ খনি শ্রমিককে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ৬ আগস্ট থেকে স্বল্প সংখ্যক স্থানীয় ও চাইনিজ শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিসরে এক শিফটে কয়লা উৎপাদন শুরু করা হয়। শনিবার (২০ আগস্ট) থেকে তিন শিফট চালু করা হয়। রোববার উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৭৩১.২১১ মে.টন কয়লা। ১ হাজার ৩০৬ নম্বর ফেইস থেকে প্রতিদিন তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, এ মুহূর্তে ভূগর্ভস্থ খনিতে কয়লা উত্তোলন কাজে ৩০৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিক এবং ৩০০ জন চাইনিজ শ্রমিক তিন শিফটে কাজ করছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS