বেড়েছে মাছের দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। নগরীর বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মাছের আড়ৎ ও বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রুই ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, কাতল মাছও বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া বড় ইলিশ ২০০ টাকা বেড়ে ১৭০০ টাকা ও ছোট ইলিশ ১০০ চাকা বেড়ে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০০ টাকা বেড়ে বড় চিংড়ি ২ হাজার টাকা ও দেশি চিংড়ি ১০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আইড় মাছের দাম ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা, ২০০ টাকা বেড়ে গুচি ১২০০ টাকা, ১০০ টাকা বেড়ে বাইন মাছ ৮০০ টাকা তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পাবদা মাছের দাম, বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে।
দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে মাছ বিক্রেতা জয়নাল বলেন, বৃষ্টি ও মেঘের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। ফলে বাজারে মাছ কম আসছে। আর আমদানি কম থাকার কারণে আমরা চাহিদা অনুযায়ী মাছ সরবরাহ করতে পারছি না। তাই মাছের দামটা একটু বেশি। জেলেরা মাছ ধরা শুরু করছে আবারও মাছেরর দাম কমবে।
মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সাহেববাজারে মাছ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আজ মাছের বাজারে এসে তো পুরোপুরি মাথা খারাপ হওয়ার মতো অবস্থা। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ মাছের দাম কেজিতে ৩০-২০০ টাকা বেড়েছে। এভাবে যদি প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বাড়ে তাহলে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষদের মাছ খাওয়াও ছেড়ে দিতে হবে।
এদিকে, মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৫ টাকা কমে ১৬৫ টাকা কেজি, অপরিবর্তিত থেকে সোনালী মুরগি ২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা কমে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা হালি এবং সাদা ডিম ৩৬ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।